নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখলে বোঝা যাবে ভোলায় পুলিশের ওপর কারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। হামলা করলে পুলিশ কি আঙুল চুষবে। ভোলায় বিএনপির ঘাতক চেহারা স্পষ্ট হয়েছে।
আজ শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো পর এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোলার ঘটনা কে ঘটিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখুন। কীভাবে ঘটেছে, কারা আক্রমণ করেছে, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কারা মিছিল করেছে, কারা সেই অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়েছে নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও অস্থির, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। আগুন সন্ত্রাস করে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। আগস্ট মাস এলেই বিএনপির ঘাতক চরিত্র বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এই মাসে দলটি সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়।
কাদের বলেন, শেখ কামালের জন্মদিনে আবাহনী মাঠে ও বনানী কবরস্থানে এত মানুষ, এত তরুণের সমাবেশ। এতে প্রমাণ হয়, আমরা প্রস্তুত। জন্মদিনের আনন্দ হারিয়ে গেছে পঁচাত্তরের রক্তাক্ত বিদায়ের মাধ্যমে। শহীদ শেখ কামালের কাছে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের অনেক কিছু শেখার আছে। বহুমাত্রিক প্রতিভা ও মেধার অধিকারী ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাই ভোলায় আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। ওই ঘটনায় পুলিশ ছাড়াও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হন। একই ঘটনায় গত বুধবার বিকেলে মারা যান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম।
বনানী কবরস্থানে দলীয় নেতাদের নিয়ে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। পরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
Comment here