১০ টাকা খরচ করাই চুয়াডাঙ্গাই ২য় শ্রেনির ছাএকে জবাই করে হত‍্যা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

১০ টাকা খরচ করাই চুয়াডাঙ্গাই ২য় শ্রেনির ছাএকে জবাই করে হত‍্যা

জাহিদ হাসান  চুয়াডাঙ্গা  জেলা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা  জেলার  দামুড়হুদা উপজেলার  কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের  কানাইডাঙ্গা  গ্রামের (১০) বছরের শিশু ও ২য় শ্রেনির ছাএকে জবাই  করে হত‍্যা করার অভিযোগ  উঠে এসেছে। শনিবার  দুপুর ২:৩০ মিনিটের  দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।  পারিবারিক  ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে কানাইডাঙ্গা গ্রামের বিত্তিপাড়া সেলিমের ছোট ছেলে ইয়ামিন বন্ধুদের সাথে করে নিয়ে বাড়ির পাশের আমবাগানে খেলা করছিল।

খেলার  সময় একই গ্রামের  সাবেক মেম্বারের ছেলে জাহিদ (১৬) তাকে হাসুয়া দিয়ে জবাই করে। ইয়ামিন কে জবাই করার পরে আম বাগানের পাশে পাকা  কবরস্থানের ভেতরে তার লাশটি ফেলে পালিয়ে যায় জাহিদ।  এসময় ইয়ামিনের খেলার সাথীরা আমি বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানায়। ইয়ামিনের পরিবারের লোকজন তার খেলার সাথীদের থেকে জানতে পেরে তার লাশটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। ইয়ামিনের স্বজনেরা তার লাশটি উদ্ধার করার পর দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। জানা গেছে মৃত ইয়ামিন দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা বিত্তিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। কানাইডাঙ্গা গ্রামের সাবেক মেম্বারের ছেলে জাহিদ পলাতক রয়েছে।  অভিযুক্ত জাহিদ কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে জাহিদ ও তার পরিবার গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য দামুড়হুদা থানার চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাটি বর্ণনা দেন মৃত ইয়ামিনের মামা আতিকুজ্জামান তিনি বলেন পারিবারিক কলহের কারণে আজ থেকে সাত বছর আগে আমার বোনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

সেই থেকে মৃত ইয়ামিন ও তার মা কানাডাতে থাকে। মৃত ইয়ামিন ছাড়াও তাঁর বড় ভাই ইমন তার মায়ের সাথে আমাদের এখানে থাকে। গতকাল দুপুরে বাড়ির পাশের আমবাগানে খেলা করছিল ও তার বড় ভাই। এসময় কানাইডাঙ্গা গ্রামের সাবেক মেম্বারের ছেলে জাহির 30 টাকা দিয়ে তাকে মুরগি কিনতে পাঠায়। দোকান থেকে মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ট 10 টাকা খরচ করে ফেলে  ইয়ামিন। অবশিষ্ট 10 টাকা ফেরত চাই জাহিদ। ইয়ামিন টাকা ফেরত না দিতে পারায় তাকে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারপিট করে জাহিদ। ইয়ামিনের বড় ভাই ভয় পেয়ে পালিয়ে আসে। বাড়ি ফিরে পরিবারের কাছে  বিষয় টি জানাই ইমন। খবর পেয়ে আমবাগানে খোঁজাখুঁজি করে ইয়ামিনের বাড়ির সদস্যরা। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর আম বাগানের পাশে পাকা কবরস্থানের ভেতর খুঁজে পাই ইয়ামিনের মরদেহ।  ইয়ামিনের পরিবার আরো জানায় যে আমার বোনের দুটি সন্তান ইয়ামিন হলো ছোট। পরিবারের কাছে ইয়ামিন খুব আদরের। ইয়ামিনের পরিবার বলে আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। পরিবারের ছোট ছেলেকে হারিয়ে মূর্ছা যাচ্ছেন ইয়ামিনের মা রিনা খাতুন । এদিকে  খবর  পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেন পুলিশ  সুপার  ( প্রশাশন)   আবু তারেক  সদর কনক কুমার  দাস। ও দামুড়হুদা থানার  ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা  ফৌরদোস  ওয়াহিদ।   এ বিষয়ে  ফৌরদোস ওয়াহিদ বলেন  নিহত শিশু  ইয়ামিনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন  করা হয়েছে।  মরদেহ  আপাতত  থানায়  রাখা হয়েছে। রবিবার  (১৩-০২-২০২২)  সকালে মরদেহ  ময়না তদন্তের  জন‍্য চুয়াডাঙ্গা  সদর হাসপাতালে  পাঠানো  হয়েছে।  এছাড়া আরো বলেন ঘটনায়  অভিযুক্ত  জাহিদ ও তার পরিবার  পলাতক  রয়েছে।  তাকে  গ্রেফতারে চিরুনি অভিযান  চালানো হচ্ছে। হত‍্যা কান্ডে ব‍্যবহার কৃত হাসুয়া টির  উদ্ধার    কাজ চলছে।

Comment here