১৮ লাখ টাকা ডাকাতি : চার সেনা ও এক পুলিশ সদস্যের কারাদণ্ড - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

১৮ লাখ টাকা ডাকাতি : চার সেনা ও এক পুলিশ সদস্যের কারাদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক : ১৮ লাখ ৯ হাজার টাকা ডাকাতির মামলায় চার সেনা ও এক পুলিশ সদস্যের ১০ বছর করে কারাদণ্ডের রায় প্রদান করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ (জেলা জজ) মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-ঘটনাকালীন সময়ে যশোর সেনানীবাসে কর্মরত ল্যান্স করপোরাল মনিরুল ইসলাম ওরফে রিপন, ঘটনাকালীন সময়ে র‌্যাব সদর দপ্তরে কর্মরত সৈনিক মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. লুৎফর রহমান খান ও মো. লিটন হাওলাদার ও ঘটনাকালীন সময়ে শাহবাগ পুলিশ কন্টোল রুমে কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোসাদ্দেক হোসেন খান। রায়ে উক্ত আসামিদের আদালত প্রত্যেকের ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদানের আদেশ দিয়েছেন। যা অনাদায়ে তাদের আরও ১ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা আসামি মোসাদ্দেক হোসেন খান, লিটন হাওলাদারকে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামিরা পলাতক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জেকে সেলস অ্যাণ্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানির ম্যানেজার মাঈন উদ্দিন, একাউন্টটেন্ট মো. সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফ, ড্রাইভার নুরুল হকদের সঙ্গে নিয়ে সাউথ ইস্ট ব্যাংকে ১৮ লাখ ৯ হাজার ২০০ টাকা জমা দিতে রওনা দেন। তারা অফিস থেকে গাড়িতে বাহির হয়ে লিখক্ষেত থানাধীন ১৩ নম্বর রোডের মাথায় লোটাস কামাল বিল্ডিংয়ের কাছে কাভার্ড ভ্যান পৌঁছালে র‌্যাবের পোষাক পরিহিত একটা মাইক্রোবাস গতিরোধ করে দাঁড়ান। গাড়ির থামালে পেছনের বক্স খুলতে বলেন। ড্রাইভার গাড়ির পেছনের দরজা খুলে দেয়।

মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা ব্যাগ ভর্তি টাকাসহ একাউন্টটেন মো. সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফকে তাদের মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যান। ওই সময় ড্রাইভারকে হুমকি দিয়ে বলে তাদের র‌্যাব-১ এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে র‌্যাব-১ এ নিয়ে না গিয়ে ভাষানটেকের মাটিকাটা নামক স্থানে তাদের নামিয়ে দিয়ে ব্যাগ নিয়ে চলে যান। ওই ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় মাঈন উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ও মাক্রোবাস জব্দ করে পুলিশ। তদন্তের পর একই বছর ৩০ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলাটির বিচারকালে আদালত ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

Comment here