ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : করোনা মহামারিতে গাইবান্ধার ফুলছড়িতে কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য নিজের প্রস্তুতকৃত ২০ মণ ওজনের টাইগারকে নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন এক খামারি। টাইগারের ন্যায্যমূল্য চান খামারি। এজন্য তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
কোরবানির ঈদে বিভিন্ন জাতের গরু এবার হাট বাজার মাতাবে। কোনোটি গানের নামে, কোনোটি বনের হিংস্র প্রাণীর নামে কোনোটি আবার নায়ক বা ভিলেনের নামে রাখা হয়েছে। বিশাল আকৃতির এসব গরুর দর দাম শুরু হয়েছে খামার থেকেই। কারণ করোনার মহামারিতে বেশিরভাগ খামারি হাটে যেতে চান না। তবে গরুর ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেক খামারি।
ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের গোলাম মোস্তফা এবার ঈদে বিক্রির জন্য ২০ মণ ওজনের একটি গরু প্রস্তুত করেছেন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সকল ক্রেতার নজর কাড়বে গরুটি। খামারের মালিক গোলাম মোস্তফা গরুটির নাম দিয়েছেন টাইগার। তার দেওয়া টাইগার নামের বিশাল আকৃতির গরুটি দেখতে খামারে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন।
খামারি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দুই বছর থেকে গরুটি লালন পালন করছি। গরুটিকে স্বাভাবিক খাবার সবুজ খাস, ভুষি ,খৈল, ভুট্টার পাতার পাশাপাশি মাল্টাও খেতে দেওয়া হয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরুটি যত্ন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ ন্যায্য মূল্য পেলেই গরুটি বিক্রি করবেন বলে তিনি জানান।
এজন্য টাইগারের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির জন্য তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সাধারণ মানুষের আশা গরুটি এবার ঈদ বাজারে ন্যায্য মূল্যে পাবে। ন্যায্য মূল্যে পেলেই অন্যান্য মানুষ গরু লালন-পালনে আরও আগ্রহী হবে।
Comment here