২৪ ঘণ্টা ফোন রেকর্ড হচ্ছে, দাবি মির্জা ফখরুলের - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

২৪ ঘণ্টা ফোন রেকর্ড হচ্ছে, দাবি মির্জা ফখরুলের

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার কর্তৃক ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন জানতে পারলাম, এই ধরনের (ইনমেডনিটি) একটা নাটক প্রচার করা হবে বিভিন্ন চ্যানেল থেকে। আই টক টু দেম। সাম অব দি টপ অফিশিয়ালস ফর দি ওনার্স। তারা এত ভয়-ভীতি প্রকাশ করেছেন, আমি যে আপনার সঙ্গে কথা বলছি, এটাও আমার জন্য বিপজ্জনক। এটা কিন্তু সমস্ত সমাজে সমস্ত জায়গায় হয়ে গেছে। আমি যে ফোনে কথা বলি, এই ফোন ২৪ ঘণ্টা রেকর্ড হয়, ২৪ ঘণ্টা এবং এটা প্রিন্টটেড হয়।’

তিনি বলেন, ‘মেসিন লাগানো আছে, যেটাতে প্রিন্ট হচ্ছে- আমি কি কথা বলছি। সেই প্রিন্টের কপি আমি দেখেছি। হ্যাঁ, এটা থেকে কেউ বাদ যাচ্ছে না তো। ’ আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।

সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আর এটাই এখন দেশের প্রকৃত চিত্র। এখানে কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। এখানে একটা বিশৃঙ্খলা চলছে, নৈরাজ্য চলছে এবং সেটা আওয়ামী লীগের সৃষ্ট।’

সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেলে ধর্ষণের ঘটনার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে প্রায় ৫০ বছর হতে যাচ্ছে স্বাধীনতার। আর দেশে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসছে তখনই এই ধরনের  নৈরাজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবণতি হয়েছে। এই আওয়ামী লীগ একটা ব্যাপারে সফল হয়েছে যে- তারা সারা দেশের সকল মানুষের মধ্যে একটা ত্রাস সৃষ্টি করতে পেরেছে, একটা ভয়-ভীতি সৃষ্টি করতে পেরেছে। সমাজের প্রত্যেকটা স্তরে একটা নিরাপত্তার অভাব বোধ করা, ভয়-ভীতি কাজ করা এবং এক সময় যারা উচ্চ কণ্ঠ ছিলেন মানুষের দাবি-দাওয়া, সমস্যা নিয়ে কথা বলতেন তারাও এখন কথা বলছেন না।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘সাংবাদিকরাও এখন কিছু লিখতে-বলতে সাহস পাচ্ছে না। সাংবাদিকরা কথা বলেননি এরকম আমরা কখনো দেখিনি। তাদেরকে এখন ব্যস্ত রাখা হয়েছে। বিএনপির কোথায় কি ক্রুটি আছে সেগুলো দেখে বেড়াচ্ছেন এবং সেগুলো বের করে করে সামনে আনছেন। এছাড়া তাদের উপায় তো নেই।’

তিনি বলেন, ‘যে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জোর করে নিয়েছে এবং যারা তারে অপকর্ম করতে পুলিশকে ব্যবহার করেছে সেই পুলিশ আজ শৃঙ্খলায় কেন থাকবে। জেলা শহরগুলোর আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মিটিংগুলোতে এসপি যে বক্তব্য রাখে সেই বক্তব্য আওয়ামী লীগের নেতার চাইতে ১০ গুন বেশি। সে নিজেই স্বাধীনতার বড় সৈনিক, সে নিজে এই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় সৈনিক হয়ে যান। এভাবেই সরকার তার সব নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।’

Comment here