নিজস্ব প্রতিবেদক : দশমীর দিন ছেলেসহ খুন হন বন্ধুপ্রকাশ-বিউটি দম্পতি। এই তিন খুনে সময় ব্যয় হয় মাত্র পাঁচ মিনিট। এই খুনের তালিকায় তিনজনের বদলে চারজন রাখলেও ভুল হবে না। কারণ, বিউটি ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা।
গত এক সপ্তাহে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনকে আটক ও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হন মূল আসামি উৎপল বেহরাও। তাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনা জেনেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে তিন খুনের এই রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটে। গ্রেপ্তার উৎপল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। মূলত অর্থিক লেনদেনের কারণেই বন্ধুপ্রকাশ পাল তার স্ত্রী বিউটি মণ্ডল ও তাদের একমাত্র সন্তান আর্য পালকে হত্যা করেন তিনি।
উৎপলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার (এসপি) মুকেশ কুমার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নবমীর দিন সাগরদিঘিতে বোনের বাড়ি আসেন হত্যা মামলার মূল আসামি। এরপর সেখান থেকে অস্ত্র কেনেন তিনি। তারপর পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালকে ফোন করে বিমার রশিদ চান। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় বন্ধুপ্রকাশ গালিগালাজ করেন উৎপলকে। এতে তার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এসপি জানান, দশমীর দিন দুপুর ১২টায় বন্ধুপ্রকাশের বাড়ি আসেন উৎপল। দরজা খুলে দেওয়া হলে ঘরে ঢুকেই প্রথমে প্রকাশের উপর হামলে পড়েন তিনি। বোনের বাড়ির এলাকা থেকে কেনা ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর বিউটি ও তার সন্তান আর্যকে কুপিয়ে হত্যা করেন উৎপল।
পুলিশ বলছে, দুপুর ১২টা ৬ মিনিট থেকে ১২টা ১১-এই পাঁচ মিনিটের মধ্যে বন্ধুপ্রকাশ ও তার স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে পালিয়ে যান উৎপল। পালানোর সময় তার ছুরিটি প্রকাশের বাড়িতেই রেখে যান তিনি।
পুলিশ কীভাবে উৎপলের খোঁজ পেল, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মুর্শিদাবাদের এসপি মুকেশ কুমার জানান, উৎপল খুনের পর জামা পরিবর্তন করে ছুরি লেখে গেলেও বিমার রশিদটি নিতে ভুলে যাও। এমনকি সকালে তিনি প্রকাশকে ফোন করেন। সে রেকর্ড পুলিশের হাতে পৌঁছানোর পর বিমার রশিদ যাচাই করে তার পরিচয় মেলে।
এসপি আরও জানান, তাকে আদালতে পেশ করার পর পুলিশি হেফাজতের আবেদন করবে পুলিশ। জেলে আনা পর্যন্ত উৎপল পুলিশ হেফাজতেই থাকবে।
Comment here