কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : বিএনপি আইন বুঝুক না বুঝুক, নতুন আইন পাস করলেই কালো আইন মনে করে বলে মন্তব্য করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশন চত্বরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানে জাতীয় সংসদে যে আইন পাস হয়েছে, সেটিকে ‘‘কালো আইন’’ মনে করেন।’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তারা আইন বুঝুক আর না বুঝুক, আমরা যা–ই করি, সেটাই তাদের কাছে কালো আইন মনে হয়। আমি তাদের বলব এই আইন পড়তে, বুঝতে। তারপর যেন তারা মন্তব্য করে।’
এরপর আইনমন্ত্রী তার সংসদীয় এলাকার অপর উপজেলা কসবায় যান। সেখানে তিনি কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেন।
বর্ধিত সভায় বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপি যিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনিই ক্ষমতায় এসেছিলেন হত্যাযজ্ঞ ও বন্দুকের নলের মাধ্যমে, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য কথা।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে জনগণের মন জয় করেছেন এবং জনগণের পাশে থেকেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারকে জনগণ ভালবাসে।’
তিনি আগামী ৬ মার্চ কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেন। এ সময় কসবার উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার জীবনকে আহ্বায়ক, পৌর কাউন্সিলর আবু জাহের ও অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন তালুকদারকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন কমিটি গঠন করা হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপির সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার জীবন, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহ্বায়ক এমজি হাক্কানী, কাজী মো. আজহারুল ইসলাম ও রুহুল আমিন ভুঁইয়া বকুল, কসবা পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Comment here