ক্রীড়া প্রতিবেদক : ‘আমরা জানতাম কিছু একটা হতে পারে। কিন্তু এত বড়ভাবে হবে সেটা কখনোই আমাদের প্রত্যাশা ছিল না। সেটা আসলেই অবিশ্বাস্য’, বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশে ফিরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজন ও দর্শকদের ভালোবাসা দেখে এভাবেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক আকবর আলী।
আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের বিশ্ব বিজয়ী টাইগাররা। এ সময় আকবর আলী, তৌহিদ হৃদয়দের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ সময় ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে তাদেরকে নিয়ে আসা হয় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। চ্যাম্পিয়নদের বরণের জন্য আগে থেকেই লাল-নীল বাতিতে প্রস্তুত ছিল শেরে বাংলা। দিনের আলো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রীড়াপ্রেমীদের ভিড় বাড়তে থাকে স্টেডিয়ামে। ক্রিকেটারদের বহনকারী বাস স্টেডিয়াম এলাকায় আসার পরই দর্শকরা ‘জয়ধনিতে’ মুখরিত করে রাখে।
মিরপুর কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আকবর আলীদের নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন নাজমুল হাসান পাপন। মিরপুরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছে বিসিবি। ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে কেক কাটা হয়। এরপর আকবর আলীসহ ট্রফি আকাশের দিকে তুলে ধরেন ধরেন বিসিবি সভাপতি। পুরো দল দরফি নিয়ে উল্লাস করে। মাঠে আতশবাজি ফাটানো হয়। মিরপুর স্টেডিয়াম জুড়ে দর্শকদের ভিড় ছিল প্রচণ্ড। মাঠের গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড-ক্লাবহাউজ ছিল দর্শকে ভরপুর।
স্বভাবতই এতকিছু আকবরের কাছে এটা অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। দর্শক-বোর্ডের ভালোবাসায় সিক্ত পুরো দল। তবে পা মাটিতেই রাখছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। জীবন বদলে গেছে কী না এমন প্রশ্নে আকবর বলেন, ‘সে রকম কিছু না। একটু শুধু অন্যরকম লাগছে, যেহেতু এটা একটা বড় অর্জন। সবার কাছ থেকে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি সেটা একটু অন্য রকম। দেখা যাক আগামীকাল থেকে কি হয়।’
বাংলাদেশ এই প্রথম ক্রিকেটে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়। চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে এবার প্রথমবারের মতো ট্রফি জেতে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা বড় অর্জন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা নতুন শুরু জানিয়ে আকবর বলেন, ‘আমি বলব যে, সবকিছুই একটা শুরু দরকার। আমি বলব যে আমাদের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটা স্টেপিং স্টোন হতে পারে। আমি আশাবাদী যে এ জিনিসটা আসাদের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। এবং সবার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’
Comment here