মামুনুররশিদ : কুমিল্লায় প্রতিকায় অফিসে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের হামলায় ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার কুমিল্লাস্থ স্টাফ রিপোর্টার ও কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কুমিল্লার ডাক পত্রিকার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করার ঘটনার ৮ দিনেও যেখানে কুমিল্লার সাংবাদিক সমাজ নিরব কিংবা বিচারের দাবীতে সোচ্চার হতে পারেনি, বিপরীতে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গভীর রাতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এক সংবাদ কর্মীকে জেলসহ মারধরের ঘটনায় বিচারের দাবীতে কুমিল্লার সাংবাদিক সমাজ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কুমিল্লায় সাংবাদিক সমাজসহ সচেতন মহলে।
জানা যায়, ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সময়ের আলোর পত্রিকার কুমিল্লাস্থ স্টাফ রিপোর্টার ও কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কুমিল্লার ডাক পত্রিকার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী গত ৭ মার্চ রাতে অফিসে দৈনন্দিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাত আনুমানিক সোয়া ১০ টায় কুমিল্লা মহানগরীর টমসমব্রীজ এলাকায় একদল সন্ত্রাসীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। এঘটনায় আহত সাংবাদিকের ছোট ভাই কোতয়ালী মডেল থানায় দু’জনের নাম উল্লেখসহ ৪/৫ জন অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করে একটি মামলা রুজু করে। এদিকে ঘটনার পর এটিএন নিউজ টিভি চ্যানেলের এক সাংবাদিক ছাড়াও স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী হাসপাতালে ছুটে যায়। পরে কয়েকটি অনলাইনসহ কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত ৩ টি দৈনিকে সংবাদটি ছাপা হলেও টিভি চ্যানেল ,জাতীয় দৈনিক বা কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত বেশ কটি পত্রিকা সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকে। এরপর ১৬ মার্চ বিকেল পর্যন্ত ৯ দিন পার হলেও হামলায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
কুমিল্লার সাংবাদিক সমাজও এনিয়ে কোন মানববন্ধন বা প্রতিবাদ সমাবেশ করার জন্য এগিয়ে আসেনি। এদিকে ১৩ মার্চ শুক্রবার মধ্যরাতে অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলাট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন এর নির্দেশে তার শহরের চড়ুয়াপাড়ার বাসার দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে মারধর করে ডিসি অফিসে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এক বছরের জেল দেওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে কুমিল্লার সংবাদ কর্মীরা। এজন্য প্রতিবাদ সমাবেশসহ মানববন্ধন কর্মসূচীও পালন করে। এখানে দু’জন নির্যাতিত সংবাদ কর্মী নিয়ে ঘটনা। নিজ জেলার সংবাদকর্মীরা নিজ জেলার সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাংবাদিকের জন্য বিন্দুমাত্র সহমর্মিতা বা সহানুভূতি প্রকাশে এগিয়ে না এসে দেশের অন্য প্রান্তে অন্যএকজন সংবাদ কর্মীর জন্য সহানুভূতি প্রকাশে মানব বন্ধন,প্রতিবাদ সমাবেশ ! সহমর্মিতা,সহানুভূতি তো দু’জনের বেলায় উচিৎ ছিল। কুমিল্লার সংবাদকর্মীরা কি এব্যাপারে এগিয়ে না এসে তাদের হীনমন্যতার পরিচয় দেয়নি কিংবা কুমিল্লায় যে অমিল সেটা প্রকাশ করেনি সাধারনের কাছে ? তাইতো নগরীতে অনেক সাধারন মানুষকে বলতে দেখা গেছে নিজেদের মাঝেই অমিল রেখে কুমিল্লার সাংবাদিক সমাজ কুড়িগ্রামের সাংবাদিকের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে কি বুঝাতে চাইল।
Comment here