নুসরাত হত্যাকাণ্ডের এক বছর আজ, ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট ভাইয়ের - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

নুসরাত হত্যাকাণ্ডের এক বছর আজ, ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট ভাইয়ের

যশোর প্রতিনিধি : নড়াইলের নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুনের স্বামী আহসানুল ইসলাম (৪৮) চিকিৎসার অবহেলায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তার মৃত্যু হয়।

ওসি রোকসানার অভিযোগ, চিকিৎসার অবহেলা কারণে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করে তার স্বজনদের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলছেন।

রোকসানা অভিযোগ করেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি এত লোকের সেবা করে বেড়াচ্ছি, অথচ শুধু ডাক্তারের অবহেলায় আমার স্বামী মারা গেল। আমার সন্তানরা এতিম হলো।’

অসুস্থ স্বামীকে অক্সিজেন না দেওয়ার অভিযোগ করে ওসি বলেন, ‘তারা কিছুই করেনি। তারা ওয়ার্ডে রেখে চলে গেছে। না কোনো ডাক্তার, না কোনো আয়া। আমার দুনিয়াডা অন্ধকার করে দিলো ডাক্তারদের অবহেলা।’

ওসি রোকসানা খাতুন জানান, তার স্বামী আহসানুল ইসলাম বাংলাদেশ রেলওয়েতে বেনাপোলে পি ম্যান হিসেবে কর্মরত। তিনি যশোর কোতয়ালী থানার স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে স্বামী আহসানুলের বুকে ব্যথা ওঠে, দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। কিছু সময়ের মধ্যে তিনি যশোর কোতয়ালী থানার ওসিকে ফোন দিয়ে তার স্বামীকে হাসপাতালে পাঠান। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ তাকে ভর্তি নিয়ে সিসিইউ ওয়ার্ডে পাঠায়।

পুলিশের এই নারী কর্মকর্তার অভিযোগ, সেই সময় দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক ওষুধ লিখে রোগীর পায়ের কাছে স্লিপ রেখে চলে যান। শ্বাসকষ্ট হলেও তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও জানান, ফোন দিলে তার স্বামী ফোন রিসিভ করেননি। পাশের বেডের রোগীর স্বজনরা ফোন ধরে চিকিৎসায় অবহেলার কথা জানান। তারা বলেন, রোগীর অবস্থা খুব খারাপ। ওষুধ আনতে হবে। পরে তিনি স্বামীর মৃত্যুর খবর পান। হাসপাতালের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে ওই রোগী মারা যান।

তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা দাবি করছেন, কার্ডিয়াক অ্যাটাকে মারা যাওয়া ওই রোগীর চিকিৎসায় কোনো অবহেলা করা হয়নি।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তির পর চিকিৎসক তাকে দেখে চিকিৎসাপত্র দেন। হাসপাতাল থেকে যা সরবরাহ করার, তা রোগীকে দেওয়া হয়। কিন্তু বাইরে থেকে ওষুধ আনার দরকার ছিল। তবে রোগীর পাশে তার কোনো লোক না থাকায় সেটা আনা হয়নি। তা ছাড়া রোগী মাত্র ১০ মিনিট সময় দিয়েছে। ফলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’

Comment here