সঙ্গীর সঙ্গে রসায়ন ভাল। কাজেই কেউ কিছু গোপন রাখেন না। তারপরও মাঝে মাঝে সন্দেহ ঢুকে পড়ে। জীবনে চলার পথে এরকম হরহামেশাই ঘটে। কাছের কোনো মানুষকে বিপদ থেকে বাঁচাতে বা নিজের কোনো সমস্যা এড়াতে মিথ্যে বলে থাকেন অনেকেই। কিন্তু অকারণে মিথ্যের আশ্রয় নেওয়া এক সময় একটা অসুখের পর্যায়ে চলে যায়।
আর এক্ষেত্রে সন্দেহ বাড়লে তা যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে। একটু চেষ্টা করলেই এ সব মিথ্যে ধরে ফেলা যায়। জেনে নেওয়া যাক কী সেই কৌশলগুলো-
প্রশ্ন
সাধারণত একটি মিথ্যেকে ঢাকতে একাধিক মিথ্যের আশ্রয় নেন অনেকেই। মিথ্যে সাজাতে যথেষ্ট যুক্তিও সাজিয়ে রাখেন। এক্ষেত্রে মন দিয়ে তার কথাগুলো শুনতে হবে। চেষ্টা করতে হবে তার নানা কথার ফাঁকে সেই কথারই সূত্রে নানা প্রশ্ন করতে। মেজাজ গরম করে নয় বরং হাসি-ঠাট্টার ছলেই প্রশ্ন করতে হবে। বার বার বিভিন্ন প্রশ্নের প্রভাবে এক সময় মিথ্যের ডিফেন্স ভেঙে যাবে। এরপর তার কোনো পরিকল্পনা কাজ না করলে ধরা পড়বে সত্য।
ভুলে যাবেন না
একটি ঘটনার সঙ্গে অন্য ঘটনার যোগ থাক বা না থাক, সঙ্গীর প্রতি সন্দেহ এলে তার বলা সব কথা ও কাজ মনে রাখুন। মিথ্যের আশ্রয় নিলে সহজেই বুঝতে পারবেন। অনেকেই আগের সব কথা মনে রেখে মিথ্যের যুক্তি খাড়া করতে পারেন না।
আচরণ
মনোবিদদের মতে, মিথ্যে বলা কঠিন কাজ। তার জন্য অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ হয়। আর এর প্রভাব পড়ে আচরণ ও শারীরিক অঙ্গভঙ্গিতে। চোখে চোখ রেখে কথা না বলতে পারা, চঞ্চল হয়ে পড়া, নানাভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা ইত্যাদি দেখা যায় তাদের আচরণে। তিনি কথা ঘোরাতে চাইছেন কি না সেটাও বুঝে নিতে হবে। তবে অকারণে কথা ঘোরালে সচেতন থাকতে হবে।
Comment here