নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের কর্ণধার মো. সাহেদ গ্রেপ্তারের পর তার কোমরে থাকা পিস্তলসহ ছবি তোলার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আজ বুধবার বিকেলে র্যাব সদর দপ্তরে ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আজ সকাল ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরার সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পলাতক এই আসামিকে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাহেদকে গ্রেপ্তারের বেশকিছু ছবি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায়, সাহেদের কোমরে একটি পিস্তল বাঁধা। তার পাশে রয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
গ্রেপ্তারের পর আসামির কাছ থেকে অস্ত্র না নিয়ে সেটি তার কোমরে রাখা উপস্থিত কর্মকর্তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি এ বিষয়টি জানি না।’
প্রসঙ্গত, আজ ভোরে রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার কামালপুর গ্রামে লবঙ্গবতী খালের পাশ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তিনি নদী পার হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় সাহেদ নৌকায় ওঠার পরপরই তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেন র্যাবের সদস্যরা। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন হাসপাতালটির মালিক মোহাম্মদ সাহেদ।
৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। ৯ জুলাই সাহেদের মুখপাত্র তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে এবং ১৪ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজর ভোরে সাহেদকেও গ্রেপ্তার করা হলো।
Comment here