নিজস্ব প্রতিবেদক : অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ। ইয়াবা দিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে স্থানীয়দের বাধার মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হয় পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
পুরো ঘটনার ওপর নজর রাখা বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে গুলি করার পরপর সেখানে বিভিন্ন সংস্থার সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। তাদের মধ্যে কয়েকজন গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকর্মীদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন। এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হলে আনোয়ার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে নতুন যোগ দেওয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর।
এক প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘চোখের সামনে যা দেখেছি সেটাই বলেছি। কিন্তু সত্য বলে এখন বিপদে পড়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের সঙ্গে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে কক্সবাজারমূখী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদের ব্যক্তিগত গাড়ি টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তল্লাশি চৌকিতে পৌঁছালে সেটি তল্লাশি করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক হয়। পুলিশ তাকে গাড়ি থেকে বের হতে বললে তিনি হাত তুলে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলি তাকে গুলি করে হত্যা করেন বলে সেনা সদর থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় দু্ইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সিনহা মো. রাশেদ হঠাৎ করে তার কোমরের ডান পাশ থেকে পিস্তল বের করে গুলি করার জন্য উদ্যত হলে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী নিজের এবং সঙ্গে থাকা অফিসার ফোর্সদের জানমাল রক্ষার জন্য চারটি গুলি করেন।
Comment here