নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১৩ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৯টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
বুধবার হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মৃতদের মধ্যে পাঁচজন করোনায় এবং আটজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এই ১৩ জনের মধ্যে আটজনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজন এবং কুষ্টিয়ার একজন মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৩ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনজন করে মারা গেছেন ১ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। আইসিইউ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন ২২, ২৫, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে।
এই এক দিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে তিনজনই করোনার হটস্পট রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। অন্য দুজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। উপসর্গ নিয়ে একই দিনে হাসপাতালে মারা গেছেন আরও ৮ জন। এদের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুজন এবং কুষ্টিয়ার একজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্র আরও জানিয়েছে, ৩০৫ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৩৪৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ২০ জন। করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৬২ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৫৫ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ২৭ জনের নমুনায়। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন। এই এক দিনে হাসাপাতাল ছেড়েছেন ২৩ জন।
মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ল্যাবে ১৮৭ জনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৪৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৭৭ ও রামেক ল্যাবে ১৫২ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীতে সবেচেয়ে বেশি ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া নাটোরে ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪ দশমিক ০৬ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী আজ ষষ্ঠ দিনের মতো রাজশাহী মহানগরীতে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। যা চলবে আগামী ১৭ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত।
Comment here