অনলাইন ডেস্ক : অনেকেই আছেন যারা এক ঘুমেই রাত পার করেন। অনেকের আবার রাতে ঘুমই আসতে চায় না। কারও কারও আবার রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে, কিন্তু সেটা টানা থাকে না। মাঝরাতে হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই ঘুম ভেঙে যায়। তখন আর কিছুতেই ঘুম আসতে চায় না। রাতে একটা নির্দিষ্ট সময়েই যে ঘুমটা ভেঙে যায়-এটা কি স্বাভাবিক? না এর নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছে!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাতে নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘুম ভেঙে যাওয়া কিন্তু চিন্তার বিষয়। নিয়মিত এমনটা হলে আপনার শরীর কিংবা মনের ভিতরে কোনো রোগ বাসা বাঁধেনি তো- এ ব্যাপারে সতর্ক হোন। রাতের কোন সময়ে ঘুম ভাঙলে কী ক্ষতি হয় তা এক প্রতিবেদনে জানিয়ে দিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম সংবাদপ্রতিদিন। সেগুলো হলো-
রাত ১১টা থেকে ১টা
এই সময়ের মধ্যে যদি স্বাভাবিকভাবে আপনার ঘুম ভেঙে যায় তাহলে তা গলব্লাডারের ক্ষতি হতে পারে। সাধারণত মানসিকভাবে হতাশ হলে এভাবে ঘুম ভেঙে যায়। এই সময়ের ঘুম ফিরে পেতে হলে ক্ষমা করতে শিখুন। আর অবশ্যই নিজেকে ভালোবাসতে জানুন।
রাত ১টা থেকে ৩টা
এই সময়ের মধ্যে ঘুম ভাঙা মানে লিভারের অসুখে ভোগা। সাধারণত যারা অল্পতে রেগে যান এবং নিজেদের রাগের উপর যাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই তাদের এই সময়ে ঘুম ভেঙে যায়। এ কারণে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা পানি পান করুন। আর পারলে নিজের আবেগের উপর একটু নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন।
৩টা থেকে ভোররাত ৫টা
এই সময়টাকে ব্রহ্ম মুহূর্ত বলে। অনেকেই এই সময়ের মধ্যে ওঠার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে আচমকা ঘুম ভেঙে গেলে তা ক্ষতিকর। এতে ফুসফুসের পক্ষে খারাপ হতে পারে। আবার এমন সময় মনে অবসাদ আসার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই এই সময়ে উঠলে সবার আগে দীর্ঘ নিশ্বাস নিন। ধ্যানের মাধ্যমে মনে আত্মবিশ্বাস আনুন। ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী হতে শিখুন।
ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা
সকালের এই সময়ের ঘুম ভাঙার অর্থ আপনার মনে অনেক দ্বিধা রয়েছে। গতে বাঁধা জীবন। সেই জীবনেই অভ্যস্ত আপনি। ঘুম ভাঙার পর শরীরচর্চা করুন। প্রয়োজনে ভালো করে প্রাতরাশ সারুন। এতে প্রাতঃকৃত্য ভালো হবে। আর সারাদিন শরীর ও মন দুইই ভালো থাকবে।
Comment here