থমকে গেছে শিক্ষার্থীদের চিরচেনা আপন জীবন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

থমকে গেছে শিক্ষার্থীদের চিরচেনা আপন জীবন

এম এইচ রবিন : করোনাকালে যেসব খাত সবচেয়ে ক্ষতির শিকার, তার মধ্যে শীর্ষে আছে শিক্ষা। দেশে ২০২০ সালে করোনার প্রকোপ শুরুর পর ওই বছরের ১৭ মার্চ ঝুঁকি বিবেচনায় বন্ধ করে দেওয়া হয় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর পর টানা দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর আবার স্কুল-কলেজ খুলেছিল।

শুরু হয়েছিল সীমিত পরিসরে ক্লাস, নেওয়া হয় দুটি পাবলিক পরীক্ষাও। ফলে আগের সেই শিক্ষা জীবন ফিরে পেতে যখন আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন শিক্ষার্থীরা, তখনই আবার হানা দিল করোনার নয়া সংক্রামক ধরন ওমিক্রন। এর দাপটে বছরের শেষ দিক থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ২১ জানুয়ারি থেকে ফের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রথম দফায় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি থাকলেও ফের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু সংক্রমণের কারণে ঘোষিত সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কিনা, তা কেউ এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তাই আবারও থমকে গেছে শিক্ষার্থীদের চিরচেনা জীবন।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, করোনাকালে অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসহ যেসব খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, চেষ্টা করলে তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। কিন্তু শিক্ষায় যে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করোনা করেছে, অন্তত ৩-৫ বছরের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা অত্যন্ত দুরূহ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যতদিন তালা থাকবে, ক্ষতির পরিমাণও তত বাড়বে। কারণ গতানুগতিক ক্লাস-পাঠের বিকল্প হিসেবে কোনো পদ্ধতিই শিখন-পঠনে পূর্ণতা পাচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের কতটুকু ক্ষতি হলো, তা এতদিনেও মূল্যায়ন করা যায়নি। কত শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে চলে গেল, তারও হিসাব নেই। অস্থায়ীভাবে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ও পরীক্ষা ঘিরে। দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষের বাইরে থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা ভুলে যাচ্ছে। বড় ঘাটতি নিয়ে উঠছে ওপরের ক্লাসে। পরীক্ষা নিতে না পারায় শেখার দক্ষতাও যাচাই হচ্ছে না। সঙ্গে শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার সামাজিক ও মানসিক প্রভাব তো আছেই।

ইউনিসেফসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা বলছে- দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাড়ছে ঝরেপড়া। কিশোরীদের অনেকে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ে কর্মজীবনে প্রবেশে পিছিয়ে যাচ্ছেন।

গত ২৪ জানুয়ারি ইউনিসেফ এক তথ্য বিবরণীতে বলেছে- মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে তিন কোটি ৭০ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, কোভিড সংক্রমণের ঢেউ সামাল দিতে আমরা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি, তার মধ্যে প্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষেত্রে সবার শেষে এবং খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে স্কুল থাকা উচিত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত দেশে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি। করোনাকালে তাদের পড়াশোনার মধ্যে রাখতে কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। ২০২০ বছরের ২৯ মার্চ থেকে মাধ্যমিকের এবং ৭ এপ্রিল থেকে প্রাথমিকের রেকর্ড করা ক্লাস সংসদ টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজগুলোয় চলছে অনলাইনে ক্লাস। কিন্তু একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় উঠে এসেছে- শিক্ষন ও পঠনের এসব বিকল্প উদ্যোগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কার্যকর হচ্ছে না।

গণসাক্ষরতা অভিযানের ‘এডুকেশন ওয়াচ ২০২০-২১’ সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়, দূরশিক্ষণের (সংসদ টিভি, রেডিও, অনলাইন ও মোবাইল) মাধ্যমে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল সাড়ে ৩১ শতাংশ। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাসই হয় না। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে সরকারি বিদ্যালয়গুলো। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো আরও পিছিয়ে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপে উঠে এসেছে, করোনাকালে দেশের গ্রামাঞ্চলের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিল অনলাইন ক্লাসের বাইরে। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত পাঠ কার্যক্রমের আওতার বাইরে ছিল গ্রামের ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।

শিখন বৈষম্য : করোনাকালে শহরের স্কুলগুলোতে তবু অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে, পিছিয়ে পড়ছে গ্রামের স্কুল। আবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের ইন্টারনেট ব্যবহারযোগ্য মোবাইল ফোন বা অন্য ডিভাইস এবং ইন্টারনেট নেওয়ার সামর্থ্য নেই, তারা ক্লাস করতে পারছে না। গত মার্চে মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবার আওতায় থাকা দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। ফলে যারা শহরে আছেন, তাদের জন্য ব্যক্তি খাতে উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা আছে। কিন্তু কে শিক্ষাটা পাবে তা নির্ভর করে ব্যক্তি ও পরিবারের আয় ক্ষমতার ওপর। বিদ্যমান বৈষম্য এবং শিক্ষায় মানের ঘাটতি করোনাকালে আরও নতুন বৈষম্যের সৃষ্টি করছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সংকটাপন্ন : করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রায় সাত লাখ শিক্ষক-কর্মচারী বিনা বেতন বা অর্থ বেতনে চাকরি করছেন। করোনায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করতে পারেনি।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্যপরিষদের মহাসচিব মো. রেজাউল হক আমাদের সময়কে বলেন, স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অর্থনৈতিকভাবে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন ৬৫ হাজার কিন্ডারগার্টেনের ১০ লক্ষাধিক শিক্ষক পরিবার। ফলে অনেকে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়েছেন।

গত বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আরও বিপাকে পড়েছেন। সরকার এ বছরের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে ৬০ দিন ক্লাস করিয়ে এসএসসি এবং ৮০ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বছরের শেষে। চলতি বছরের এ দুই পরীক্ষাও হচ্ছে না পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে।

চলতি বছরে এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায় এবং মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে সরকারের চিন্তা কী, জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, উভয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির পরিকল্পনাই বহাল রয়েছে। মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখল, তা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। সেটি করার পর বোঝা যাবে কতটুকু এবং কোথায় ক্ষতি হয়েছে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য জানতে ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছি। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহামারীকালে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করছে অধিদপ্তর।

জানা গেছে, নতুন বছরের দুই মাস হয়ে গেলেও কত শিক্ষার্থী এবার প্রাথমিকে ভর্তি হলো, কত শিক্ষার্থী ঝরে পড়ল এসব তথ্য সরকারের হাতে নেই। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তির তথ্য চাওয়া হয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকলেও বিকল্প পদ্ধতিতে পাঠদান চালুর ব্যবস্থা রয়েছে।

সংকটে উচ্চশিক্ষা : নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট বাড়ছে। বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি সংকটে আছে। অবশ্য অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর এমন শিক্ষায় একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা দক্ষতার মাপকাঠিতে পিছিয়ে থাকছে, অপরদিকে তৈরি হচ্ছে মানসিক অবসন্নতা-হতাশা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার পরও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় তৈরি হচ্ছে নানামুখী সমস্যা। অপরিকল্পিত এমন কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের ঝরে যাওয়ার হার নিয়ে রয়েছে সংশয়। অনেকে আবার সেশনজট আর বেকারত্বের থাবায় বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের পথ।

স্বাভাবিক ক্লাস পরীক্ষার চালু দাবি জানিয়েছে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। সংগঠনের সমন্বয়ক এমএইচ সোহেল বলেন, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তীব্র সেশনজটে পড়ছেন উচ্চশিক্ষার শিক্ষার্থীরা। লেখাপড়া জীবন দীর্ঘ হওয়ায় অনেকে সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন না। আমাদের দাবির আরও একটি যৌক্তিক কারণ এটি।

উচ্চশিক্ষার সংকট এড়ানোর পরিকল্পনা তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, করোনাকালে অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে নিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আবার পরীক্ষাও নিয়েছে। তবে এটি আমাদের দেশের সার্বিক অবকাঠামোয় যথার্থ নয়। আমরা চাই, খোলার পরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্রæত সেশনজট কীভাবে কমিয়ে আনা যায় এবং স্থগিত পরীক্ষাগুলো কীভাবে কম সময়ে নেওয়া যায় তার পরিকল্পনা করবে।

সার্বিক বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সব কিছু বিবেচনায় এনে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া দরকার। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার পর তারা উত্তীর্ণ ক্লাসের জন্য কতখানি প্রস্তুত সে সম্পর্কে অবগত হতে হবে। বাংলা, গণিত, ইংরেজি এবং বিজ্ঞানের ওপর র‌্যাপিড অ্যাসেসমেন্ট যাচাই করতে হবে। এতে শনাক্ত করা সহজ হবে শিখন ঘাতটিতে পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের। এই ঘাটতি পূরণ এবং শ্রেণির জন্য প্রস্তুত করতে একটি কুইক প্ল্যান করা দরকার।

শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয় কোনো রকমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খোলা যাবে সেটি নিয়েই বেশি ভাবছে উল্লেখ করে অধ্যাপক মনজুর বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণে তিন থেকে পাঁচ বছরের পরিকল্পনা নিতে হবে।

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ক্ষতি কতটুকু হলো, তা পর্যালোচনা করতে হবে আগে। এর পর তার ভিত্তিতে ক্ষতি পোষাতে এগোতে হবে মহাপরিকল্পনা করে। পরীক্ষা ছাড়া বা সামান্য কিছু পড়িয়ে ওপরের শ্রেণিতে উঠালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ঘরবন্দি থাকায় তাদের মনোসামাজিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা হতাশায় ডুবছে- এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়ছে। জীবনজীবিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনটাও চলমান রাখা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শ্রেণিকক্ষের বাইরে আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক সমস্যা, শিক্ষার্থীদের ডিভাইস স্বল্পতা আছে। এগুলো স্থায়ী সমাধানে যেতে হবে সরকারকে। যেসব শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন, তাদের ক্লাসে আনা উচিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ না রেখে উচিত, সপ্তাহের কিছু দিন অনলাইন ক্লাস এবং বাকি দিনগুলো অফলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা নেওয়া।

 

Comment here