নজরুল ইসলাম : ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি তার লক্ষ্য ঠিক করেছে। তা হচ্ছে রাজপথে সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট আদায় করা। বার বার শীর্ষ পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে, আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় ; যারা নির্বাচনে (দ্বাদশ নির্র্বাচন) যাবে, তারাও জাতীয় বেইমান হিসেবে স্বীকৃত পাবে। বিএনপি নেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চলমান পরিস্থিতিতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে দলটিকে নানা চ্যালেঞ্জ বা সঙ্কট মোকাবেলা করতে হবে।
তারা এ-ও বলেন, বিএনপিকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। যদিও সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে দলটি। দাবির পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিদেশী কূটনীতিকদেরও ব্রিফ করা হচ্ছে। দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে পুনর্গঠন কাজের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে ইউনিয়ন পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি করছে।
তবে, বিগত আন্দোলন সংগ্রামের তিক্ত অবিজ্ঞতার কারণে চাহিদা থাকলেও এখনই হরতালসহ কঠোর আন্দোলনেও যেতে পারছে না দলটি। আবার আন্দোলনেই দাবি আদায় হবে -এ নিশ্চয়তাও নেই দলটির কাছে। এ কারণে দলের চূড়ান্ত কর্মপন্থা কী হবে তা নিয়ে দ্বিধাহীন দলটি।
গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের শক্ত অবস্থানের কারনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কিছুটা আশাবাদী হয়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. দিলারা চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, বিএনপি যে সঙ্কটে পড়েছে তা শুধুমাত্র তাদের একার নয়; এটা দেশীয় সঙ্কট। জনগণের নির্বাচন ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন বলে আমিও একজন রাষ্ট্র বিজ্ঞানী হিসেবে মনে করি। আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব না হয়; তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত অন্ধাকারাচ্ছন্ন। এটা দেশের রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দলসহ সবার বুঝতে হবে।
এই রাষ্ট্র বিজ্ঞানী আরো বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। নানা দমনপীড়ন, গুম ইত্যাদি নির্যানের পরও পার্টি হিসেবে বিএনপি দাঁড়িয়ে আছে। বিএনপিকে ২০০৯ সালের নির্বাচন কমিশন ভাঙ্গার চেষ্টা করেও পারেনি। আবার কেউ দল ছেড়েও অন্য দলে কেউ যায়নি। বিএনপির সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, দলটিতে বড় রকমের কোনো কোন্দল নেই।
তিনি বলেন, দেশের চলমান সঙ্কট উত্তরণে বিএনপি- নিরপেক্ষ সরকার অধীনে একটি নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু দমনপীড়নের কারণে পথটা অনেক দুরূহ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নিষেধাজ্ঞা আসছে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব একটা অবস্থান নিয়েছে। এটা বিএনপির জন্য একটা সুযোগ। বিএনপি এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলে দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, দেশের ভবিষ্যতও ভালো হবে।
বিএনপিকে পরামর্শ দিয়ে এই রাষ্ট্র বিজ্ঞানী বলেন, বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। কোনো ধরনের সহিংষ্ণুতায় যাওয়া যাবে না। আমার মতে সহিংষ্ণুতা হলে সরকার সেখান থেকে সুযোগ পেয়ে যাবে।
বিএনপি নেতারাও মনে করেন, প্রতিষ্ঠার পর গত এক যুগের বেশি সময় ধরে কঠিন পরীক্ষার মুখে থাকা দলটি চলমান সঙ্কট থেকে উত্তরণে আলোচনার পর আলোচনা করলেও লক্ষ্য অর্জনে চূড়ান্ত কৌশল গ্রহণ করতে পারছে না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে কারামুক্ত হন, তিনি রাজনীতি করতে পারছেন না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে। দলের মূল দুই শীর্ষনেতার শারীরিক ‘অনুপস্থিতি’তে তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে বিলম্ব হয়। এই নিয়ে কখনো কখনো আড়ালে সমালোচনাও হয়। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আমাদের সময়কে বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সার্বক্ষনিক আমাদের সাথে যুক্ত থাকেন। যে কোনো সিদ্ধান্ত তার সাথে আলোচনা করেই নেওয়া হয়। জরুরী হলে তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। কেউ কেউ বিশেষ করে অন্য রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত, তারা তারেক রহমানের সমালোচনা করতে পারলে নিজেকে অন্যরকম মনে করে, সরকারের দিক থেকে কিছু সুবিধা পায়। আসলে তারেক রহমান ও বিএনপির জনপ্রিয়তায় কিছু লোকের গাত্রদাহ থেকে নানা কথাবার্তা বলে থাকেন।
তিনি এ-ও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে, মামলা দিয়ে বিএনপিকে নিঃশেষ করতে চেয়েছিল। মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় সাজা দিয়ে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে দেওয়া হয় না। সরকারের চরম দমনপীড়নের পরও তার (তারেক রহমান) অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতায় বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলে পরিনত হয়েছে।
তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অগোছালো অবস্থা থেকে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে। তবে, জাতীয় নির্বাচনের আগে বা সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে নেমে পড়লে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও পড়তে হতে পারে তাদের। দলের অনেক নেতাকর্মীর মামলা বিচারাধীন। এসব মামলায় সাজা হলে অনেক জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সারির নেতাদের কারাগারে যেতে হবে।
টানা ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় একটি বিশাল সমাবেশও করেছে দলটি। ঢাকা বাইরে গত ২২ আগস্ট থেকে লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। হামলার পরও প্রতিরোধ গড়ে তুলছে নেতাকর্মীরা। এতে করে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বেশ খুশি। তবে, যে সব ইউনিটে চলমান কর্মসূচি হচ্ছে না এবং যেসব ইউনিটের শীর্ষ নেতারা এলাকার বাইরে থাকেন তাদের একটি তালিকা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
‘হতাশা-আশা’র মিশ্রণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীদের আশা-আকাঙ্খার কেন্দ্র হিসেবে বিএনপি গঠন করেন।
চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাদের সময়কে বলেন, দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের বিকল্প নেই। সেই আন্দোলন গড়ে তোলাই বিএনপির এখন মূল চ্যালেঞ্জ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই অবস্থায় সামনে বিএনপিকে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থন আদায় করতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিনের মিত্র চীনের সঙ্গে বিএনপির সেই সখ্যতা নেই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকলেও বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তাদের আগের মতো মাথাব্যথাও নেই। পাকিস্তানেরও প্রভাব কমেছে দেশের রাজনীতিতে। আর ভারত এখনো বিএনপিকে বিকল্প হিসেবে ভাবছে না। এর সঙ্গে যুক্ত হবে নেতাকর্মীদের সাজার বিষয়।
লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে বিএনপির ভবিষ্যৎ নেই, কিন্তু সে ধরনের নির্বাচন করতে হলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে, যেটা বিএনপি দাবি করছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে ওই ব্যবস্থা বর্তমান সরকার বাতিল করেছে এবং এটি আদায় করতে হলে বিএনপিকে কঠোর আন্দোলন বা গণঅভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যেটা আওয়ামী লীগ পেরেছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির কর্মকৌশল কী, তার ওপরই সুষ্ঠু নির্বাচন নির্ভর করছে।
দলটির নেতারা বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চান। তাই, ২০ দলীয় জোটকে কার্যকর করার পরিবর্তে নির্দলীয় সরকারে অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায়ে বিরোধী শক্তিগুলোর একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
দেশে ও বিদেশে জোটের অন্যতম শরীক জামায়াত ইসলামীর যে অবস্থান, তা মাথায় রেখে বিএনপি ২০ দলীয় জোটকে কার্যকর না করার কৌশল নিয়েছে। গত বছরের আগস্টে জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে জোটকে অকার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, যখন একযোগে আন্দোলন শুরু হবে, তখন জোট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেঙে যাবে। এতে করে দেশে এবং বিদেশে বিএনপি সম্পর্কে স্পষ্ট একটি বার্তা যাবে। যারা জামায়াতকে পছন্দ করে না তাদেরও আন্দোলনে পাওয়া যাবে। জামায়াত নিজে থেকেই বলছে তারা যুগপৎ আন্দোলনে থাকবে। আবার জামায়াতকে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে সরকার পশ্চিমাদের কাছে যে অপপ্রচার অস্ত্রটি ব্যবহার করত তা ভোতা হয়ে যাবে। অতএব, সব দিক দিয়ে বিএনপি লাভবান হচ্ছে।
বিএনপির জন্ম যেভাবে ১৯৭৭ সালের জুন মাসে প্রেসিডেন্ট জিয়া ১৯ দফা র্কমসূচি নিয়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক (জাগো) দল গঠন করেন। ওই দলের আহ্বায়ক ছিলেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। এরপর জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন করে জিয়াউর রহমান, ওই বছর তিনি প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রমনা বটমূলে জাতীয়তাবাদী দলের জন্ম হয়।
জাগো দল, ন্যাপ (মশিউর রহমান যাদু মিয়া), ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ক্যাপ্টেন আবদুল হালিম-আকবর হোসেন), লেবার পার্টি (মতিন) ও মুসলিম লীগ (শাহ আজিজুর রহমান) নিয়ে বিএনপির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল। সর্বসম্মতভাবে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।
জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর নেতাকর্মীদের অনুরোধে গৃহবধূ খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আসেন। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন তিনি। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদ সামরিক শাসন জারি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এ দুঃসহ অবস্থায় সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে যান খালেদা জিয়া। ’৮৩ সালের মার্চে খালেদা জিয়া বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। স্বৈরশাসকবিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। ১৯৮৪ সালের ১০ মে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। আজ অবধি তিনিই চেয়ারপারসনের পদে বহাল রয়েছেন।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় চারবার দলটি চারবার সরকার গঠন করে। জিয়াউর রহমানের সরকারের পর ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর তিন জোটের রূপরেখার আলোকে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও সর্বশেষ ২০০১ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভ করে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি : প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টায় কেন্দ্রসহ সারা দেশের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, দুপুর ১২ টায় শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিকাল ৩ টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি। এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার বিকালে মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনাসভা হবে। একইভাবে দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরসহ সব ইউনিটে তাদের সুবিধা অনুযায়ী আলোচনা সভা, র্যালি কর্মসূচি পালন করবে।
Comment here