স্বামীকে ৭ টুকরো : সাবেক স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ক্রাইম

স্বামীকে ৭ টুকরো : সাবেক স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

তালাক দেওয়ার পর স্ত্রীকে বিরক্ত করায় সাবেক স্বামী মনির হোসেনকে হত্যার পর কেটে সাত টুকরো করার মামলায় নিহতের সাবেক স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা আদালতের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নিহত মনির হোসেনের তালাক দেওয়া স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার কাকলী ওরফে নীপা (২৭), নীপার স্বামী মো. শরিফ মাতুব্বর ওরফে শরীফ (৩২), শরীফের বন্ধু আনোয়ার হোসেন মোল্লা ওরফে গ্রাম সরকার (৩৮) ও মো. ইব্রাহিম খলিল (২৭)।

ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা বলেন, ‘দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে শরীফ ও ইব্রাহিম পলাতক। রায় ঘোষণার সময় নীপা ও আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’

২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল কামরাঙ্গীরচর থানার মুন্সিহাট নদীর পাড় থেকে পুলিশ মনির হোসেনের সাত খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় পর দিন ১৯ এপ্রিল নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আসামি আনোয়ার, নীপা ও শরীফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিতে নীপা জানান, ২০০৯ সালে বান্ধবি রিতার মাধ্যমে মনিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে মনিরকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, মনিরের আগের স্ত্রী ও সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে মনির নীপার ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন করার কারণে তিনি মনিরকে তালাক দিয়ে শরীফ নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। কিন্তু তালাকের পরও মনির নীপাকে বিরক্ত করায় ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি মনিরকে হুজুর পাড়া রোডের ভাড়া বাসায় ডেকে আনেন। বাসায় আসার পর আসামি ইব্রাহিম মনিরকে বেঁধে ফেলেন। অপর আসামি আনোয়ার বালিশ চাপা দেন এবং নীপা মুখ চেপে ধরে আর শরীফ গলায় ছুরি চালিয়ে দুই ভাগ করে ফেলেন। পরে মনিরের লাশ আরও ছয় টুকরো করে কামরাঙ্গীরচর থানার মুন্সিহাট নদীর পাড়ে লাশ ফেলে রাখেন।

মামলাটি তদন্তের পর ২০১৪ সালের ১৪ মে আদালতে চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ। মামলায় একই বছর ১৯ অক্টোবর একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন।

পরে মামলাটির বিচারকালে আদালত চার্জশিটের ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

Comment here