নাইকো দুর্নীতি মামলায় এক এফবিআই কর্মকর্তা ও দুই কানাডিয়ান পুলিশকে সাক্ষ্য দেওয়ার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, এফসিআই কর্মকর্তা কেবিন দুগ্গান, রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের লয়েড শোয়েপ ও নিউ ইয়র্কের ক্রিমিনাল ডিভিশনের মিসেস ডেব্রা ল্যাপ্রেভোট গ্রিফিথকে এ মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন করেন। রবিবার এ বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্য দেয়ার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম এর বিরোধীতা করেন।
তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল সারাদেশের সব মামলায় শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু আবেদন করার ক্ষমতা তার নেই। আমরা এর বিরোধীতা করছি।’
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর অস্থায়ী এজলাসে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন বিদেশি সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে এদিন মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমকে জেরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু প্রস্তুতি নেই জানিয়ে জেরা পেছানোর আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামি ১০ অক্টোবর জেরার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর মুহা. মাহবুবুল আলম জবানবন্দি শেষ করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেছেন।
গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
Comment here