উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় সূর্যের আলো মিলছে না, আর আলো মিললেও তাতে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটা। গতকাল রবিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। সকালের এই হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছেন কাজের উদ্দেশ্যে। শিশুরা গরম কাপড় পরে পড়তে যাচ্ছে স্কুলে। শীত উপেক্ষা করে কৃষকেরা কাজ শুরু করেছেন ফসলের খেতে। হিমেল হাওয়ার দাপটে মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, গত রবিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শুক্রবার১০ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ওই দিন পঞ্চগড়ে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তবে এরপর থেকে কখনও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আবার কখনও শৈত্যপ্রবাহ কেটে গিয়ে সামান্য বেড়েছে তাপমাত্রা। এরপর শনিবার ১১ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১২ দশমিকর ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এবং আকাশে মেঘ থাকার কারণে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। জানুয়ারি মাস জুড়ে আরও কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
Comment here