বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডিত হওয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের দুর্নীতির মামলার নথি লোয়ার কোর্ট রেকর্ড (এলসিআর) বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে নথি নিয়ে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত থেকে পুলিশ পাহারায় পেশকার মো. মোকারম হোসেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছান। তিনি জানান, নথিতে রায়নহ মোট পৃষ্ঠার সংখ্যা ৪ হাজার ৪৪টি, যার মধ্যে রায় ৩৯৩ পৃষ্ঠার।
এ মামলায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জামি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। ওই রায়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করলে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং নিম্ন আদালতকে নথী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ৫ বছরের দণ্ডিত হন। ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন।
Comment here