সাইফুল ইসলাম রিয়াদ : এলেন, খেললেন এবং জয় এনে দিলেন। অথচ তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বলছি ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা আফিফ হোসেনের কথা। এই আফিফ ব্যাটিং করতে নেমেছেন আট নম্বরে। তাকে কেন আগে নামানো হয়নি, এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন।
ম্যাচ শেষে পাপন জানালেন প্রধানমন্ত্রীর ফোনের কথা। কী বলছিলেনে প্রধানমন্ত্রী?
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ফোন দিয়ে বলেন, পাপন এটা কি হচ্ছে? এরকম হচ্ছে কেন? উনি তখন চিন্তিত। তারপর যখন আফিফ আসল। আফিফের খেলা দেখে বলল ও আগে নামে নাই কেন? একে তো আগে দেখিনি। আমি বললাম আপা ও তুলনামূলকভাবে একদম নতুন। এসেছে মাত্র ১৯ বছর বয়স। ওর আসলে পাঁচে খেলার কথা ছিল। যাইহোক যেখানে খেলেছে সেট বড় কথা না। ভালো খেলেছে, উনি বলল, ভালো খেলেছে, ওর খেলা দেখছি। খেলা শেষ হওয়ার আগেও ফোন করে বলেছে, আমার তো দোয়া করতে করতে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। উনি প্রতিটা বলই দেখেছে। ও আউট হওয়ার আগে যে চার মারল এটা দেখে বলেছে, এই শটটা দারুণ খেলেছে। তাই খেলা শেষ হওয়ার পর পর ভাবলাম আমি একটু কথা বলিয়ে দেই। এত আফিফের কথ বলছে যখন। যেহেতু অধিনায়ক সাকিবও আছে। ওদের সঙ্গে কথা বলেছে। কি কথা বলেছে আমি আসলে জানি না।’
১৪৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৬০ রানে বাংলাদেশের ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এই বেহাল অবস্থা থেকে দলকে তিন উইকেটের জয় এনে দেন মোসাদ্দেক-আফিফ। সাব্বির আউট হওয়ার পর মাঠে আসেন একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। এসেই খেলতে শুরু করেন নিজের সহজাত খেলা। তাকে দেখে ভয়ংকর হয়ে ওঠে মোসাদ্দেকের ব্যাটও। দুজনের জুটি থেকে আসে ৮২ রান। সর্বোচ্ছ ৫২ রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে। ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক।
Comment here