নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার ‘ক্যাসিনো কিং’ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নেশা ছিল জুয়াখেলা। মাসে অন্তত ১০ দিন তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে জুয়া খেলতেন। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় জুয়ার আস্তানা মেরিনা বে স্যান্ডস ক্যাসিনোয় পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ থেকেও আসেন জুয়াড়িরা। সম্রাট সেখানে ভিআইপি জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিত। প্রথম সারির জুয়াড়ি হওয়ায় সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি এয়ারপোর্টে তাকে অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। এয়ারপোর্ট থেকে মেরিনা বে স্যান্ডস ক্যাসিনো পর্যন্ত তাকে ‘ভিআইপি প্রটোকলে’ নিয়ে যাওয়া হতো বিলাসবহুল লিমুজিন গাড়ি দিয়ে।
শুধু সিঙ্গাপুরেই নয়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও সম্রাট পেতেন ‘ভিআইপি প্রটোকল’। বিধি মোতাবেক ভিআইপি না হয়েও অবৈধ ক্ষমতার দাপটে তিনি এই মর্যাদা ভোগ করে আসছিলেন বছরের পর বছর ধরে। তিনি কাউকে তোয়াক্কা করতেন না। তার দাপটের কাছে অসহায় ছিলেন বিমানবন্দরকর্মীরা। আর বিমানবন্দরে আসার আগে মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে বিশাল কর্মীবাহিনীর প্রটোকল থাকত তাকে বহন করা গাড়ির আশপাশ ঘিরে। গতকাল রবিবার ভোরে কুমিল্লা থেকে সম্রাটের গ্রেপ্তারের পর এ ব্যাপারে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্য ও বিমানবন্দরের ভুক্তভোগী কর্মীরা জানান, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সম্রাট নিজেকে ভিআইপি মনে করতেন। তার ক্ষমতা এবং দাপটের কাছে অসহায় ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা ও বিমানবন্দরের কর্মীরা। বিদেশে যাতায়াতের সময় সব সময় বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতেন তিনি।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্রাট ভিআইপি না হলেও বিমানবন্দরে প্রবেশে পুলিশ ব্যবহার করতেন। তাদের প্রটোকল দিতে আসতে ২-১ মিনিট দেরি হলে তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে ফোন চলে যেত।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মেহবুব খান জানান, যারা ভিআইপি যাত্রী নন, তাদের বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারে কখনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।
Comment here