নির্বাচন-পরবর্তী সন্ত্রাসী হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আহত - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ক্রাইম

নির্বাচন-পরবর্তী সন্ত্রাসী হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আহত

জিল্লুর রহমান, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ ঝিকরগাছা উপজেলার ১০ নম্বর শংকরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বকুলিয়া গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী ব্যাপক সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় উক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হবিবর রহমান মন্ডল আহত হয়েছেন।

এ ঘটনার পর বকুলিয়া গ্রামে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তথ্যসূত্র, ৩১শে মার্চ উপজেলা নির্বাচনে ঝিকরগাছা উপজেলায় এডভোকেট মোহাম্মদ আলী রায়হান নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং মনিরুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। এই নির্বাচনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হবিবার রহমান মন্ডল দলীয় প্রতীক নৌকার পক্ষে নির্বাচন করেছিলেন। নির্বাচনের দিন নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ফলাফল নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে ফেরার সময় বকুলিয়া গ্রামের স্কুল মাঠে পৌঁছালে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসী ও মার্ডার সহ একাধিক মামলার আসামি, দুধর্ষ সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর বাহিনীর অন্যতম সহযোগী সামের আলী (৪৫) ওরফে কালা ছাম্মের অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় রাস্তার পাশে থাকা একটি দোকানে থেকে গ্রামের কয়েকজন লোক এসে সভাপতি হাবিবুর রহমান মণ্ডল কে সন্ত্রাসী হামলা থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। লোকজনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সন্ত্রাসী কালা সাম্মের পালিয়ে যায়। উপস্থিত জনগণের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন নির্বাচনে আনারস মার্কা পাশ করার পর-সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এ ধরনের হামলা চালাবে বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে থাকে। কিন্তু জনগণ বুঝতে পারেনি সভাপতির উপরে হামলা হতে পারে।
উল্লেখ থাকে যে, বিগত ইউপি নির্বাচনের পর থেকে জামাত-বিএনপি নিয়ে গড়ে তোলা সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর বাহিনীর তান্ডব শুরু হয়। জনগণের কাছ থেকে আরো জানা যায় এই কালা সাম্যের সহ তার ছেলে মিঠু ও জামাত শিবিরের কয়েকজন সন্ত্রাসী একই গ্রামে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার এজেন্টদের ও খেটেখাওয়া কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায় এবং কয়েকজন কে গুরুতর জখম করে। এছাড়া ভাঙচুর লুটপাট কয়েক বছর যাবত চালাতে থাকে। জাহাঙ্গীর বাহিনীর তান্ডব সহ্য করতে না পেরে ভুক্তভোগীরা আদালতের সম্মুখীন হয়। সন্ত্রাসী সহ বিভিন্ন ধরনের লুটপাট, মারামারি,২৬ধারাসহ প্রায় এক ডজন মামলা ঝুলছে
সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর বাহিনীর কালা সাম্মের, তার ছেলে মিঠু সহ ১০-১২ জন সদস্যের। সন্ত্রাসী মামলার কারণে জীবন বাঁচাতে মিঠু দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে গেছে।
এলাকার জনগণ এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে চাই, স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জনগণের দাবি উপযুক্ত তদন্ত করে এ ধরনের সন্ত্রাসীদের দ্রুত নিধন করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে দিক।
কথিত আছে এবারের উপজেলা নির্বাচনে উক্ত ইউনিয়নের সাবেক দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান মিজান ধাবক জাহাঙ্গীর বাহিনীকে মাঠে নামায় এবং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেয়। যদিও তিনি এ বিষয়ে সত্যতা নেই বলে জানান।

Comment here