নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইদানীং কিছু কেস আপনারা দেখেছেন খুব দ্রুত শেষ করতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে সেই স্বাধীনতাও আমরা বিচার বিভাগকে নিশ্চিত করে দিয়েছি, মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে।’
তিনি বলেন, ‘সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনে আমরা বিচারের মাধ্যমে আমরা দেশে আইনের শাসন প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছি। আমরা ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার আইন প্রণয়ন করি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমাদের যে ইশতেহার ছিল তাতেও মানবাধিকার কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার আমরা করেছিলাম। কমিশন তদন্ত করে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ সরকারের কাছে প্রেরণ করছে এবং সরকার গুরুত্বের সাথে তা বাস্তবায়ন করছে।’
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,‘বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর এই বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এখানে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। কারণ চিকিৎসা সেবা আমরা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের শিক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছি। সব দিক থেকেই এ দেশটা যেন এগিয়ে যেতে পারে এবং আধুনিক প্রযুক্তি-জ্ঞানসম্পন্ন জনগোষ্ঠী হয় তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন ঘোষণা দিয়েছিলাম অনেকেই ঠাট্টা করতেন যে ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন আর কেউ ঠাট্টা করে না, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সবাই পাচ্ছে। এখন আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি। কাজেই আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন আমাদের নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে। সেটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই এবারের যে প্রতিপাদ্য, আমি সত্যিই ধন্যবাদ জানাই এ প্রতিপাদ্য নেওয়ার জন্য যে ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’। আসলে তরুণরাই তো আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই গড়ে তুলবে আগামী বাংলাদেশ এবং তারাই এ অভিযাত্রাকে আরও গতিবেগ এনে দেবে।
Comment here