ডিম আমদানিতে ২০ শতাংশ ও ভোজ্যতেলে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আজাদ মজুমদার।
তিনি জানান, আমদানি পর্যায়ে ডিমের শুল্ক ৩৩ শতাংশ কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে। আর ভোজ্যতেলের আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আড়তদাররা সরাসরি খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর ডিম আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
সংস্থাটির বাণিজ্য নীতি বিভাগের উপপ্রধান মাহমুদুল হাসান জানান, বাজারে বাড়ছে ডিমের দাম। এ পরিস্থিতিতে ডিম আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য আরেক দফা এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ডিম শর্তসাপেক্ষে আমদানিযোগ্য পণ্য হওয়ায় সরকারের অনুমতি ছাড়া ডিম আমদানি করা যায় না। অন্যদিকে, গত বছরগুলোতে ডিম আমদানি না হওয়ার কারণে স্বল্পমেয়াদে এই শুল্ক ছাড়ের ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিরও আশঙ্কা নেই।
বর্তমান ডিমে শুল্ক মোট ৩৩ শতাংশ অব্যাহত রাখলে আমদানি করা ডিম দিয়ে স্থানীয় বাজারে দামের তেমন তারতম্য ঘটবে না। তাই কমিশন আগে পাঠানো প্রতিবেদনের আলোকে আমদানি পর্যায়ে ডিমের ওপর শুল্ক স্বল্প সময়ের জন্যে প্রত্যাহার করলে সাধারণ জনগণ এই সময়ে স্বস্তির জায়গা খুঁজে পাবে। একই সঙ্গে এ ধরনের শুল্ক অব্যাহতির ফলে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি না করে বিদ্যমান দাম বহাল থাকবে বলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে। এর আগে তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মূল্য সমন্বয়ের আবেদন করেন।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান,বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানসহ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Comment here