জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীর ও অফিস সহকারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার আপত্তিকর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস হওয়ার পর সারা দেশে তা সয়লাব হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ২২ হাজার পর্ন সাইট বন্ধ করে কী লাভ হচ্ছে তা জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিবৃতিতে এ প্রশ্ন করেন মহিউদ্দিন। তিনি বলেছেন, গত তিন থেকে চার ধরে জামালপুর জেলা প্রশাসকের অশ্লীল ভিডিওতে ভাসছে দেশ। সমাজ আজ বিপন্ন। দেশে প্রায় নয় কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক হলেও পাড়া মহল্লার কম্পিউটারের দোকান থেকে মেমোরি কার্ডে লোড করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা এমনকি বৃদ্ধ-বনিতাও ডিসির এই অপকর্মের ভিডিও দেখছেন।
তিনি আরও বলেন, কাজের ফাঁকে বড় আলোচনার বিষয় এখন জামালপুরের ডিসি। সরকার দেশে ২২ হাজার পর্ন সাইট সরকার বন্ধ করলেও এই ভিডিও গত তিন থেকে চার দিনেও সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই সব নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা কেন রাখছে না তা অবশ্যই প্রশ্ন রাখে।
বিবৃতিতে মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে পর্নগ্রাফি আইন ২০১২ রয়েছে। যার মাধ্যমে এই কাজে লিপ্ত ব্যক্তির সাত বছরের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সালে এক কোটি টাকা জরিমানা ও ১৪ বছরের জেলের বিধান থাকলেও জেলা প্রশাসক ও তার সহকর্মীকে এ আইনের আওতায় কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়। সেই সঙ্গে যারা এই অশ্লীল ছবি যারা প্রসার ও প্রচার ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একই শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
সাম্প্রতিক বিটিআরসি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছে, দেশের তিনটি অপারেটর ফেসবুক এবং গুগলকে তিন বছরে দিয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দৈনিক প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো ব্যয় করছে অপারেটরা। এত টাকা ব্যয় করা সত্ত্বেও গুগল এবং ফেসবুকের সঙ্গে আমাদের কেন এ ধরনের চুক্তি করা হচ্ছে না।
তিনি আরও লেখেন, সরকারের অনেক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চারিত্রিক দিক নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তাই সরকারকে দ্রুত এ বিষয়গুলি দেখভাল করার আহ্বান জানাই। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
Comment here