প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কিছু মানুষ আছেন যারা বাংলাদেশের কোন ভালো দেখেন না। যারা দেখে না, যারা চোখ থাকতেও অন্ধ, তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। শুধু এটাই বলব, তারা দেখে না কিন্তু ভোগ করে।’
আজ শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা চায়নি আওয়ামী লীগ কখনও ক্ষমতায় আসুক। যারা চায়নি যে এদেশের মানুষ আবার পেট ভারে ভাত খাক, মানুষের একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই হোক, রোগীরা চিকিৎসা পাক, মানুষ শিক্ষিত হোক। তাদের প্রতি আমাদের চ্যালেঞ্জ, আমার বাবা এই দেশ যে লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীন করেছেন তা আমি পূরণ করব। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য।’
দুদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী আজ নিজ এলাকায় গেছেন। সেখানে তার সফরে সঙ্গী হয়েছেন আইসিটি উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
এর আগে, শনিবার সকাল ৮টায় গণভবন থেকে সড়কপথে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ৮টা ৫০ মিনিটে পদ্মা সেতু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান।
পরে তিনটি গাছের চারা রোপণ করে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন করেন। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থানীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
আরও পড়ুন: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী, সঙ্গী জয়
কোটালীপাড়ায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৩টায় টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন। টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে সূরা ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী তার টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে বিশ্রামে যাবেন। রাতে সেখানে তিনি রাত্রিযাপন করবেন।
পরদিন ২ জুলাই সকাল ৯টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা। পরে তার নিজ বাড়িতে বিশ্রামে যাবেন। এরপর দুপুর ১টায় সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
Comment here