ইউএনবি : অযৌক্তিক দাবিতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বরদাশত করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমান সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় সরকার যেকোনো শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্বাগত জানায় উল্লেখ করেন তিনি।
বর্তমান সরকার গঠন করার পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের রায়ই হচ্ছে ক্ষমতার পালাবদলের একমাত্র উপায়। যেকোনো শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে, অযৌক্তিক দাবিতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে আমরা বরদাশত করব না।’
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসী অতীতে আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস এবং মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা দেখেছে। বাংলাদেশের মাটিতে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি আর হতে দেওয়া হবে না।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা তার প্রায় ৩০ মিনিটের ভাষণে দুর্নীতির সাথে জড়িতদের শোধরানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষের কল্যাণের জন্য আমি যেকোনো পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমি আবারও সবাইকে সতর্ক করে দিতে চাই-দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক, যত শক্তিশালীই হোক না কেন-তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষের হক যাতে কেউ কেড়ে নিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
ভাষণে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি বন্ধে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। মানুষ সচেতন হলে দুর্নীতি আপনা-আপনি কমে যাবে। একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে হিংসা-বিদ্বেষ হানাহানি থাকবে না। সকল ধর্ম-বর্ণ এবং সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।’
সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘সরকার সংসদকে কার্যকর করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেই সাথে সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণ সংসদকে প্রাণবন্ত করেছে। ‘আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে একটানা সরকার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। আমরা একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সরকার পরিচালনা করছি। আর সে লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং তাদের জীবনমানের উন্নয়নসহ সকলের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার দেশ ও জনগণের জন্য কী করতে চেয়েছিল আর কী করতে পেরেছে তা নিয়ে তারা সব সময়ই সচেতন। আপনারাও নিশ্চয়ই মূল্যায়ন করবেন। তবে আমরা মুখরোচক প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী নই। আমরা তা-ই বলি, যা আমাদের বাস্তবায়নের সামর্থ রয়েছে।
Comment here