পলাশবাড়ী পৌর এলাকা চৌমাথায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর, চরম দুর্ভোগে পথচারী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

পলাশবাড়ী পৌর এলাকা চৌমাথায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর, চরম দুর্ভোগে পথচারী

পলাশবাড়ী গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ- পলাশবাড়ী পৌরশহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। পলাশবাড়ী সদরের চৌমাথা মোড় হতে সি-সার্কেল অফিস পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও তা ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি হয়ে পড়েছে। ফলে ড্রেনগুলো ময়লায় ভর্তি হওয়ায় শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌমাথা মোড়ে নোংরা বর্জ্য পানি ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এসে পড়ছে। এমতাবস্থায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, মসজিদগামী মুসুল্লি ও পথচারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দীর্ঘদিন হতে।
গাইবান্ধা সড়ক প্রসস্তকরণের ফলে পলাশবাড়ী ব্যস্ততম এলাকা চৌমাথা হতে উপজেলা রোডস্থ সকল পানি প্রবাহের একমাত্র ড্রেনটি সি- সার্কেল কার্যালয় পর্যান্ত দির্ঘ। চৌমাথা হতে কিছু সংখ্যক স্থানে ড্রেনের স্লাপ ভেঙ্গে যাওয়ায় পলিথিন কাদামাটি দিয়ে ভর্তি হয়ে পড়ায় পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পরেছে। ড্রেনটি পরিস্কার ও সচল থাকাকলীন অবস্থায় সমস্ত পানি সি সার্কেল অভিসের পাশে এসে জমা হয়ে তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর। এ ছাড়া সদরের কালিবাড়ী হাটের চামড়ার বর্জ্য মিশ্রিত পানি প্রবাহে নির্মিত ড্রেনের গতিপথ গাইবান্ধা রোডস্থ সি-সার্কেল অফিস এলাকায়। ফলে সেখানে সর্বক্ষণ বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অত্র এলাকাবাসীর দাবি ড্রেনেজ সংযোগটি আরো এক কিলোমিটার বাড়িয়ে সদর অতিক্রম করলে এবং ড্রেনগুলো সময়মত পরিষ্কার করলে এ দুর্ভোগ লাঘব হবে।
নবগঠিত এ পৌরসভায় ডাস্টবিন না থাকায় ও প্রয়োজনীয় সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ না নেওয়া,মশক নিধনের তদারকি না থাকায়, কালিবাড়ী বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থার একটি স্থায়ী সমাধান না হওয়ায়, বহুল কাঙ্খিত পৌরভার সুভল ভোগ না পাওয়ায়,পলিথিন ব্যাগের অবাধ বিচরণ হলেও দেখার কেউ নেই বলে বিরুপ চিন্তা ও প্রশ্ন জাগছে জনমনে।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক আবু বকর প্রধান সময় নিউজ ২৪ ডট কম’কে জানান,সবে মাত্র আমি পৌরসভার দ্বায়িত্বভার করেছি এবং তিন মাথা এলাকায় ড্রেনের কাজ শুরু করা হয়েছে খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
গুরুত্বপূর্ণ চৌমাথা মহাসড়কের উপর ময়লা পানি জমে থাকা চলমান এ দীর্ঘদিনের সমস্যাদি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে আছে বর্তমানে পলাশবাড়ীবাসী।

Comment here