চাঁপাইনবাবগঞ্জে তরুণীকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার অপর ধারায় তাঁদের সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক শওকত আলী এই দণ্ডাদেশ দেন। এই রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি নয়ন কর্মকার রবিদাস ও প্রশান্ত রবিদাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন নয়ন কর্মকার রবিদাস (৩২), নিতাই চন্দ্র রবিদাস (৩০), সুভাষ দাস (৪৬), প্রশান্ত রবিদাস (২৮) ও প্রশান্ত রবিদাস (২৬)।
ওই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা বেগম ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, যুবক নয়ন কর্মকার রবিদাস মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মুঠোফোনে আয়েশা খাতুন নামে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৫ সালের ১৩ জুন বিকেলে তাঁকে বিয়ের কথা বলে মুঠোফোনে ডেকে নেন তিনি। ওই দিন রাতেই তরুণীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড় এলাকার একটি ডোবা থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
একই বছরের ৯ আগস্ট ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আখতার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তৎকালীন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরোয়ার রহমান ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
Comment here