বাউফল প্রতিনিধি ; পটুয়াখালীর বাউফলে ধর্ষণের শিকার এক প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৬) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা মামলা দায়ের করলে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে ওই কিশোরীর পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই কিশোরীর মা অভিযোগ করেন, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে তার স্বামী কয়েক মাস আগে মারা গেছেন। দুই ছেলে বাইরে চাকরি করে, বাড়িতে থাকে না। তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে বিবাহিত, শ্বশুরবাড়ি থাকে আর মেঝ মেয়ে ঢাকায় পড়াশোনা করে। ফলে শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বোবা ছোট মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন তিনি। বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে মেয়েকে ঘরে একা রেখেই বাইরে যেতে হয় তাকে। সেই সুযোগে একই এলাকার আবদুল মালেক হাওলাদার (৫৫) ও জয়নাল হাওলাদার (৫৭) নামে তার এক আত্মীয় ঘরে ঢুকে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, বিষয়টি তার মেয়ে তাকে ইশারা ইঙ্গিতে জানানোর চেষ্টা করলেও তিনি প্রথমে বুঝতে পারেননি। পরে একদিন তিনি আবদুল মালেককে ঘর থেকে বের হতে দেখেন এবং তার মেয়ে কেঁদে ওঠে। তখন তার মেয়ে ইশারায় বুঝিয়ে বলে, আবদুল মালেক ও জয়নাল বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করেছে।
তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে ওই কিশোরী বমি করতে শুরু করলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে গিয়ে কোনো বিচার না পেয়ে গত ২৬ জানুয়ারি বাউফল থানায় দুই ব্যক্তির নামে মামলা করেন ওই কিশোরীর মা।
ওই কিশোরীর মা বলেন, ‘মামলা করে এখন বিপাকে পড়েছি। আসামি এবং আমার স্বজনেরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। এ কারণে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই দুই ধর্ষক স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় আছেন, যার কারণে পুলিশ আসামি ধরছে না।’
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকির বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করি খুব শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
Comment here