নিজস্ব প্রতিবেদক : কার্যকর করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ঢাকার জেলার মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের আগে তার স্ত্রী সালেহা বেগমকে কারাগারে আসতে বলা হয়। কিন্তু স্বামীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার নিয়ে রাত ১২টা ১৮ মিনিটে কারা ফটকে আসেন মাজেদের স্ত্রী। তার সঙ্গে তার কয়েকজন আত্মীয় আসেন। পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে নামান। এরপর তারা হেঁটে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন।
কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ শাজাহান। আবদুল মাজেদের ফাঁসিই এই কারাগারের প্রথম ফাঁসি। ফাঁসি কার্যকরে তাকে সহায়তা করে তার নেতৃত্বাধিন একদল জল্লাদ। জল্লাদ শাহজাহান বঙ্গবন্ধুর অন্য পাঁচ খুনির ফাঁসিও কার্যকর করেন।
এর আগে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা। এছাড়া কারাগারে প্রবেশ করেন কারারক্ষী, জেলার, সিনিয়র জেল সুপার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জন। কারাগারের বাইরে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সও রাখা হয়।
এর আগে গত বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো প্রাণভিক্ষা খারিজের চিঠি পৌঁছায় কারাগারে। তখনই ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা নিতে শুরু করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
সবশেষ গতকাল শুক্রবার কারাগারে আবদুল মাজেদের সঙ্গে তার স্ত্রী সালেহা বেগম, স্ত্রীর বোন ও ভগ্নিপতি, ভাতিজা ও একজন চাচাশ্বশুরসহ মোট পাঁচজন দেখা করে আসেন।
প্রায় দুই দশক ধরে ভারতে পালিয়ে থাকার পর দেশে ফিরে গত ৭ এপ্রিল ভোরে গাবতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ। পরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এরপর মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
Comment here