সোনিয়া ইসলাম: জানা যায় 4 জুলাই 2019 গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে। কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার হলি ফ্যামিলি এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসারত অবস্থায় চিকিৎসকের ভুল জনিত কারণে রিয়া (১৯) নামের এক তরুণী প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানা যায়, প্রসূতি রিয়া(১৯) কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার জুরানপুর এলাকার( ভূঁইয়া বাড়ির) সোলেমান মিয়ার মেয়ে । প্রসূতি মায়ের সূত্র বরাতে আরো জানা যায়, প্রসূতির প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে তাৎক্ষণিক ভাবে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা তে অবস্থিত হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গর্ভবতী রিয়াকে(১৯) ভর্তি করানো হয়।পরবর্তীতে হাসপাতালে ডাক্তার রিয়াকে পরীক্ষা করে জানায় রিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তাকে(রিয়া) যত দ্রুত সম্ভব সিজার করাতে হবে। প্রসূতি রিয়ার মার ভাষ্যমতে আরো অবহিত হওয়া যায় যে, সিজার করার জন্য ডাক্তাররা প্রথমে তার মেয়েকে অজ্ঞান করার ইনজেকশন পুস করেন যেন প্রসব বেদনা কম হয় এবং দ্রুত সিজার কাজ সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস হিতী বিপরীত ঘটতে থাকে । পক্ষান্তরে প্রসব বেদনা দূর হওয়ার পরিবর্তে আধঘণ্টার মধ্যেই মেয়েটির সমস্ত শরীরে মারাত্মকভাবে যন্ত্রণা অনুভূত হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে চেহারা বিকৃতি আকার ধারণ করতে শুরু করে এ অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল পরিবর্তনের জন্য রিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হলে তার পর পরই ম দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে মেয়েটি মারা যায় ।
পরিবারের লোকজনের দাবি ভুল চিকিৎসার কারণে তারা আজ তাদের মেয়েটিকে হারালো তাদের মেয়ের মৃত্যুর জন্য ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই একমাত্র দায়ী। এবং আরো বলেন এটি কোন স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না বরং ভুল চিকিৎসা দিয়ে ডাক্তাররা তাদের মেয়েটিকে মেরে ফেলেছে। এটি একটি জঘন্যতম হত্যাকান্ড। আর এর দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার ছাড়া বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Comment here