কিশোরী নববধূকে ধর্ষণের পর হত্যা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কিশোরী নববধূকে ধর্ষণের পর হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আশা মনি নামের এক কিশোরী নববধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আশা মনির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ ছাড়া কুড়িগ্রামের উলিপুরে নুরানি মাদ্রাসার এক শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটির বাবা শুক্রবার রাতে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এজাহারনামীয় একজনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মেয়েটিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ছাড়া ফেনীর ফুলগাজীতে গতকাল কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে সোহাগ নামের এক যুবক। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ধর্ষণকা-ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেতা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

গোবিন্দগঞ্জ : চার মাস আগে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের মারিয়া গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে আশা মনির সঙ্গে একই ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের বুদুর ছেলে তৌহিদের বিয়ে হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে তৌহিদের পরিবার আশা মনির পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। মেয়ের পরিবার অসচ্ছল হওয়ায় টাকা দিতে পারছিল না। এতে আশা মনির ওপর নির্যাতন দিন দিন বাড়ছিল। গত শুক্রবার বিকালে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে কয়েক দুর্বৃত্তের হাতে তুলে দেয়। দুর্বৃত্তরা তাকে ধর্ষণের পর পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এর পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। রাতে প্রতিবেশীরা ওই বাড়ির লোকজনের সাড়াশব্দ না পেয়ে গিয়ে দেখেন আশামনির শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম। পরে থানায় খবর দিলে রাতেই পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল শনিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান, ময়নাতদন্তের পর এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উলিপুর : উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের আপুয়ারখাতা সোত্তারভাটা গ্রামের শিশুশিক্ষার্থীকে (১২) মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে প্রতিবেশী তৈয়ব আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান সোহেল (১৯) প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই শিক্ষার্থী সোহেলের বাড়িসংলগ্ন রাস্তার পাশের টিউবওয়েলে হাত ধুতে যায়। এ সময় সোহেল তাকে জোর করে ঘরে নিয়ে যায় এবং মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হলে সোহেল তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাড়ি ফিরে সে মাকে ঘটনা জানায়। পরে স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্ত্বব্যরত চিকিৎসক রাতেই তাকে রংপুর মেডিক্যালে পাঠান। এ ঘটনায় রাতেই থানায় হাফিজুর রহমান সোহেল ও তার চাচিসহ অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ সোহেলের চাচি নুর ইসলামের স্ত্রী সেলিনা বেগম সেলীকে গ্রেপ্তার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেলের মা সিদ্দিকা বেগম ও চাচাতো ভাই সোহেল রানা বাবুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

ভূঞাপুর : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফুজ্জামান হৃদয় ম-লকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার মাটিকাটা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসিফুজ্জামান ভূঞাপুর পৌর এলাকার ছাব্বিশা গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে। ভূঞাপুর থানা সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এক মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরণ ও পরে ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল। অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় মেয়েটি আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি। শুক্রবার রাতে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

ফুলগাজী : উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামে গতকাল সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে স্থানীয় বন্ধুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একই গ্রামের মনির আহমদের ছেলে সোহাগ ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সোহাগ পালিয়ে যায়। ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কুতুব উদ্দিন জানান, মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সোহাগকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Comment here