নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজের প্রশ্নে আপোস করবেন না বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ রোববার দুপুরে রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সম্মেলন কক্ষে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সামনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটা পথ দেখিয়েছেন-অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোস না করা। সেই পথটা কি? সংগ্রাম করে দাবি আদায় করে নেওয়া। সেজন্য আমরা দেশনেত্রীকে আপোসহীন নেত্রী বলি। দীর্ঘ ৯ বছর তিনি সংগ্রাম করেছেন। এই নিদারুণ অসুস্থতার মধ্যেও তাকে অনেকবার অনেকে বলেছেন কেন এত কষ্ট করবেন? তিনি বলেছেন, আমার নিজের প্রশ্নে কোনো আপোস করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া লড়াই করছেন, সংগ্রাম করেছেন, অসুস্থ অবস্থায় প্রতিটি মুহূর্ত কাটাচ্ছেন, আপোস করছেন না।’
তরুণ ও যুবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একইভাবে আমাদের তরুণ যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা আমাদের সময়ে যুদ্ধ করেছি, পরিবর্তন এনেছি। পরবর্তীকালে এদেশের ছাত্রসমাজ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে সংগ্রাম করে পরাজিত করেছে। আজকে তরুণ সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
বর্তমান সরকারকে ‘দানব’ আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এই যে দানব-আমাদের সাজানো সমাজ- বাগান ধ্বংস করে দিল তাদের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে রাস্তায় নেমে পড়তে হবে। এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ।’
আওয়ামী লীগকে গ্রামের যোদ্দারদের সাথে তুলনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যোদ্দাদের কাজ হচ্ছে মানুষকে কষ্ট দেওয়া ও মামলা দিয়ে হয়রানি করা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে গ্রামের যোদ্দাদের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অপরাধ সমাজকে পরিকল্পিতভাবে করে দেওয়া। ভয়ে কেউ কোনো কথা বলে না। ১৯৭২-৭৫ এ একই অবস্থা করা হয়েছিল। তখন তো বিচার ছিল। এখান তা নেই। হাইকোর্টে গেলেও লাভ হবে বলে মনে হয় না। ঘাড়ে বন্দুক রেখে প্রধান বিচারপতিকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।’
সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় ও আহ্বায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান প্রমুখ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র প্রমুখ।
Comment here