নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নে ভয়াভহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।  সোমবার (০৬ এপ্রিল)গভীর রাতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,দীঘলবাক ইউনিয়নের জামারগাঁও গ্রামে ফয়জুল মিয়ার স্ত্রী ভিক্ষুক সুরজান বেগম ও মৃত লেকাছ মিয়ার স্ত্রী ভিক্ষুক মিনারা বেগমের বসত ঘরে এক ভয়াভহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।পাশের  বাড়ির ঝরনা বেগম আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন।
তখন সবাই ঘুমের মধ্যে ছিলেন হঠাৎ চিৎকার শোনে তারা ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে ঘর থেকে বাহিরে আসেন ।এসে স্থানীয় লোকজন নিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার আগেই আসবাবপত্রসহ ঘর পুড়ে চাই হয়ে যায়। সুরজান বেগম জানান, বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করে মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো নগদ ১০ হাজার টাকা, ছাগল মোরগসহ,ঘরের আসবাবপত্র সহ সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন,আমার মেয়ে কে নিয়ে আমি কোথায় যাব। মেয়ের বিয়ের জমানো টাকা সব পুড়ে ছাই।পড়নের কাপড় ছাড়া আমাদের কাছে আর কিছুই নেই। সরকারের পক্ষ থেকে যদি আমাদের কে সাহায্য করতেন তাহলে আমরা মাথা গুজার টাই পেতাম।
মিনারা বেগম জানান, নগদ ৩ হাজার টাকা,১৫ টি মোরগ,ঘরের আসবাবপত্র সহ সব কিছু পুড়ে যায়।আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম কাজ করেন।ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার আগেই প্রায় সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার ফখরুল ইসলাম জানান, ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির এ.এস.আই রুবেল ইসলাম আমায় ফোন দিয়ে  অগ্নীকান্ডের বিষয় টি জানান আমি তাড়াতাড়ি করে ঘটনাস্থলে যাই গিয়ে ফায়ার সার্ভিস কে ফোন  দেই ,ফায়ার সার্ভিস আসার আগে এলাকার মানুষদের সাথে নিয়ে আগুন টি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করি। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকার লোকজন দের সাথে নিয়ে প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। তিনি আর বলেন,তাদের কে আমি আমার ব্যাক্তিগত ও সরকারি তহবিল থেকে সাহায্য করব। অগ্নিকান্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইনাতগঞ্জ ফাড়ির একদল পুলিশ।
				 
            


 
                                 
                                
Comment here