চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী তার সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে (২১ মার্চ) একটি ভিডিও প্রকাশ করেন ফেসবুকে। ভিডিওতে তুলে ধরা হয় মা-ছেলের নানা স্মৃতি। ঠিক এমনই একটি ভিডিও মাস ছয় আগে প্রকাশ করেছিলেন পরীমণিও। সেও তার সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্মদিনে এটি প্রকাশ্যে আনেন। মূলত এরপর থেকেই দুই নায়িকার ‘কথা যুদ্ধ’ শুরু হয় নেটদুনিয়ায়।
একে অপরকে ইঙ্গিত একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন ফেসবুকে। দুই নায়িকার পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস নিয়ে চলছে নানা আলোচনাও। এর মধ্যে আবার পরীর পক্ষ হয়ে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাসও। ফলে নায়িকাদের তর্ক-বিতর্ক এখন চরমে।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার পরীমণি নতুন একটি স্ট্যাটাসে ক্ষোভ ঝাড়লেন। তবে এবার অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে তার এই কথাগুলো বলা। পরী লিখেছেন, ‘যে বা যারা আমার শক্রর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে আজ থেকে কোনোদিন আমি তাদের মুখও দেখতে চাই না। অনেক তো হলো।’
পরী কাকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো লিখেছেন, তা নিয়েও চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কেউ মনে করছেন এক পরিচালককে ইঙ্গিত করেই স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন তিনি। আর সেই পরিচালক পরী ও বুবলী, দু’জনেরই খুব কাছের। দুই নায়িকার ভার্চ্যুয়াল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, ওই নির্মাতাকে প্রায়ই দেখা গেছে বুবলীর সঙ্গে। আর এ কারণেই খেপেছেন পরীমণি।
বিষয়টি নিয়ে পরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই শত্রু তো আপনিও হতে পারেন আবার ভাই-বন্ধুও হতে পারে, পরিচালকও হতে পারে। তবে কথাগুলো যার বোঝার সে এতক্ষণে বুঝে গেছেন। বাকিদের না বুঝলেও চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে যার ঝামেলা, তার সঙ্গে ঘটনার পরদিনই সারা দিন ওই মানুষটি ছিলেন। আমার শত্রুর সঙ্গে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি আমাকে যেভাবে ভালোবাসা দেখান; এখন মনে হচ্ছে, এ ভালোবাসা পুরোপুরি ভুয়া। আমিও তাকে সরল মনে বিশ্বাস করেছিলাম।’
যাকে শত্রু ভেবে স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরী, সে যদি এসে ক্ষমা চায়, তাহলে কী করবেন পরীমণি? উত্তরে ‘বিশ্বসুন্দরী’খ্যাত এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘অনেক হয়েছে আর নয়। আমি জানি সে হয়তো আসবে। কিন্তু সেই সুযোগ আর নাই। এখন আমি ওই মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চাই না। এ ধরনের মানুষের জায়গা আমার কাছে আর কোনো দিনই হবে না। এমন বেইমানির জন্য আমি সংসার পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছি।’
Comment here