অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিবারের উপর বুড়িচংয়ে অতর্কিত হামলা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ক্রাইম

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিবারের উপর বুড়িচংয়ে অতর্কিত হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার অন্তর্গত বুড়িচং পৃর্বপাড়া মরহুম আইয়ূব আলী মেম্বার বাড়ীর নিকটে গত ২৮জুন ২০১৯ খ্রিঃ তারিখে ডাক্তারবাড়ীর রাস্তাসহ পুকুরের পাড় নির্মানকে কেন্দ্র করে পাড়ের মালিকদ্বয়গণ ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে নির্মাণকাজ করার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আঃজলিল কে নির্মান কাজ পরিচালনার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। উক্ত বৈঠকে পুকুর পাড়ের মালিক ফার্মেসি রতন, এনামুল, প্রবাসী মোঃ সেলিম, মোঃ গিয়াসউদ্দিন সহ গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। পরের দিন নির্মানকাজ শুরু হওয়ার পর কামাল হোসেন প্রকাশ পিচ্ছি কামাল পিতা মৃত কালা মিয়া পঞ্চাশ হাজার টাকা চাদা দাবি করেন আঃ জলিলের কাছে এবং বলেন আমি পিচ্ছি কামাল এর দরবারে হাদিয়া না দিলে কাজ বন্ধ থাকবে। অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। পুকুর পাড়ের মালিক প্রবাসী জামালের ছোট ভাই মোঃ এনামুল জানান গত কয়েকদিন আগে আমরা ডাক্তার বাড়ীতে দশ শতক জায়গা ক্রয় করি। কামাল আমাদের কাছে একলক্ষ টাকা চাদা দাবি করলে আমরা তাকে বেশ কিছু টাকা দেই।

পরে আমার বড় ভাবী প্রবাসী জামালের স্ত্রী সাং হরিপুরের কাছ থেকে আরও দশহাজার টাকা চাদানেয়। জানান দেয়, টাকা না দিলে আমার বাসার সামনে দিয়ে রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে না।গত ০৪ জুলাই দুপুর অনুমান ০১ঃ০০ ঘটিকার সময় রাজ মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করার সময় পিচ্ছিকামাল এসে কাজ বন্ধ করার জন্য মিস্ত্রিদের হুমকি দমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। বিভিন্ন অজুহাতে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে চাদা না পাওয়ায় রাজমিস্ত্রি হাবিবউল্লাহ সহ মিস্ত্রি আলআমিন কে হাতুরি দিয়ে মারতে যায়। তার প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আশ পাশের মানুষ সহ প্রবাসি সেলিমের স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। প্রবাসি সেলিম প্রতিবাদ করলে ্তাকে ও তার স্ত্রীকে খারাপ ও অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করেন। অতঃপর অনুমান বিকাল ০৩ঃ০০ ঘটিকার সময় আঃ জলির নির্মান কাজের কাছে এসে দেখে কাজ বন্ধ। দৃষ্টি গোছরে আসে পিচ্ছিকামাল পুকুর পাড়ের সন্নিকটে বাসুর দোকানের অদূরে অবস্থান করে এবং কাজ বন্ধের বিস্তারিত কারন জানতে পারে। প্রবাসি সেলিম জানান পিচ্ছি কামাল অবসরপ্রাপ্ত আঃ জলিল কে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ সহ এসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয় ও মারামারি করার জন্য তেড়ে আসে, কাজকর্ম ঠিকভাবে হচ্ছে না।

কত টাকা খরচ হলো হিসাব দাও।আর আমার ভাগটা কই, পাওনা না পাইলে কাজ বন্ধ থাকবে। তখন আঃ জলিল বলেন আমরা নিজস্ব অর্থায়নে কাজ পরিচালনা করছি, তুমি হিসাব নেয়ার কে? এটা তো সরকারী রাস্তার কাজ না, যে তোমাকে চাদা দিব। এই কথা বাক যুদ্ধের পর পিচ্ছি কামাল স্থান ত্যাগ করেন। চিৎকার করে বলেন কামালের জেল খাটার অভ্যাস আছে। জেলের দরজা খোলা, খেলা হবে। তৎপ্রেক্ষিতে গত ০৫ জুলাই জুম্মার নামাজের পর অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আঃ জলিল মসজিদ থেকে নামাজ আদায় করার পর বাসায় ঢুকার পথে বাড়ির গেইটে পিচ্ছি কামাল সহ আঃ রশিদ, মোঃ শাহআলম, সর্ব পিতা মৃত কালা মিয়া, মোঃ সফিক ও মোঃ রফিক পিতা আঃ সামাদ মিয়া সহ গালাগালি করতে শুরু করে। গালমন্দের এক পর্যায়ে আঃ জলিলের ছোট ছেলে মোঃ সাকিবুল ইসলাম ও মেয়ে নাজমা আক্তার ও স্ত্রী বাসা থেকে আসে, আসার পর পিচ্ছি কামালসহ সঙ্গীয় লোকজন আঃ জলিল এর উর অতর্কিত হামলা চালায়। আঃ জলিল সহ ছেলে সাকিব ও মেয়ে নাজমা উপর কিল ঘুসি দিয়ে হাতাহাতির এক পর্যায়ে নাজমার গলার আধা ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন সহ একটি সিটি গোল্ডের কানের দুল টান দিয়ে কামাল ও সফিক নিয়ে যায়। তখন তাদের চিৎকারে অনেক লোকজন একত্র হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পিচ্ছি কামাল পা পিছলে পড়ে রিটানিং ওয়ালের উপর পড়ে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন আঃ জলিল (৬০) নাজমা আক্তার (২২) সাকিবুল ইসলাম (২০) কামাল হোসেন (৩৫) স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার পূর্বক বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেন। আঃ জলিল ও নাজমা আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একজন সহ শাহিন মিয়া জানান পিচ্ছি কামাল ও রশিদ এবং সফিক এবং ঘড়ি মিস্ত্রি সুলতানের ইন্দনে আজ এতবড় এক ঘটনা ঘটল। পিচ্ছি কামাল খুব উৎশৃখল তার যন্ত্রনায় এলাকার সাধারন মানুষ অতিষ্ট। কিছু দিন আগে বুড়িচং এর পিয়ন খালেকের কাছথেকে পাইপ বসানোকে কেন্দ্র করে তারা একলক্ষ টাকা চাদা নিয়েছে। স্থানীয় জনগন এর পরিত্রানসহ শান্তিতে বসবাস করতে চায়।

Comment here