অরিত্রীর আত্মহত্যা : সাক্ষ্য দিলেন ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির সদস্য - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

অরিত্রীর আত্মহত্যা : সাক্ষ্য দিলেন ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির সদস্য

আদালত প্রতিবেদক : রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় করা প্ররোচনার মামলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সদস্য আতাউর রহমান ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম সাক্ষ্যগ্রহণের পর আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণের সময় দুই আসামি শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার আদালতে হাজির ছিলেন। তারা জামিনে রয়েছেন। মামলাটিতে এ নিয়ে অরিত্রির মা-বাবাসহ ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল রাখা নিষিদ্ধ থাকলেও ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর অরিত্রী (১৪) মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে, যা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হলের শিক্ষিকা আফসানা আমতু রাব্বী তার কাছ থেকে নিয়ে নেন এবং পরদিন তার বাবা-মাকে স্কুলে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী অরিত্রী পরদিন সকাল ১১টার দিকে স্কুলে এসে মা-বাবাকে নিয়ে শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার সঙ্গে দেখা করে। সেখানে কিছু সময় বসে থাকার পর তিনি অরিত্রী ও তার মা-বাবাকে জিন্নাত আক্তারের কাছে নিয়ে যান। তাদের দেখেই তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে মেয়েকে টিসি দিয়ে দেবেন বলে জানান। তখন মা-বাবা অরিত্রীকে নিয়ে নাজনীন ফেরদৌসের রুমে যান। সেখানে  নাজনীন ফেরদৌসের পা ধরে ক্ষমা চায় অরিত্রি। সঙ্গে তার মা-বাবাও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ক্ষমা চান। কিন্তু নাজনীন ফেরদৌস তাদের পাত্তা দেননি। তিনিও টিসি দেওয়ার কথা জানান। এতে অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে নাজনীনের কথা কাটাকাটি হওয়ার সময় অরিত্রী বাসায় চলে যায় এবং নাজনীন ও জিন্নাত আক্তারদের নির্মম আচরণে কারণে সিলিং ফ্যানে ওড়না লাগিয়ে গলায়  ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

আসামিদের নির্দয় ব্যবহার এবং অশিক্ষিত সুলভ আচরণই অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। একই বছর ২৫ মার্চ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার চার্জশিট দেন।

 

Comment here