অল্প বয়সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হলো পিয়াংশুকের - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

অল্প বয়সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হলো পিয়াংশুকের

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার আন্দোলনকর্মী সৈয়দা রত্না ও তার ছেলেকে ১৩ ঘণ্টা আটক রাখার পর ছেড়ে দেয় পুলিশ। থানার হাজতখানা থেকে মুক্ত হয়ে সৈয়দা রত্নার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে ইসা আবদুল্লাহ সাদেকিন পিয়াংশুক বলেন, ‘অল্প বয়সে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। তবে থানায় নেওয়ার পর আমার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করা হয়নি।’

তবে ১৩ ঘণ্টা পর থানা থেকে মুক্ত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি কলাবাগান মাঠ রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সৈয়দা রত্না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুধু বলেছেন, তারা (থানা) আমাদের সঙ্গে কোনো অন্যায় করেনি, কেবল বেলা ১১টা থেকে বসিয়ে রেখেছে। মেয়ের পাঠানো ইফতার খাননি বলেও জানান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা বলেন, কোনো কমেন্ট করা যাবে না, রেস্ট্রিকশন আছে। এ সময় রত্নাও ইশারায় কথা না বলার কথা জানান।

এর আগে আটক সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে পিয়াংশুককে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। রাত ১২টায় থানাহাজত থেকে এক নারী কনস্টেবল সৈয়দা রত্নাকে ওসি পরিতোষ চন্দ্রর কক্ষে নিয়ে যান। ওসির সামনের চেয়ারে বসেন রত্না। একটি কাগজ ধরিয়ে ওসি বলেন, এখানে একটি স্বাক্ষর করেন। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সৈয়দা শাহীন মাহবুব রত্না এই মর্মে প্রতিজ্ঞা করছি যে, কলাবাগান থানা ভবন নির্মাণে আমি কোনো ধরনের বস্তুত বা ভার্চুয়াল বিঘ্ন ঘটাব না। আমি ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি এবং পরবর্তী সময়ে আর কখনো এমন কাজে লিপ্ত হবো না। আরো উল্লেখ্য যে, থানা অথবা আদালতে তলব মোতাবেক হাজির হইতে বাধ্য থাকিব। অন্যথায় যে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিবো।’ ওই কাগজে স্বাক্ষর করে তবেই মুক্তি মেলে রত্না ও তার ছেলের।

 

Comment here