কক্সবাজার শহর থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে আট কিলোমিটার গেলে দরিয়ানগর পর্যটনপল্লি। এ পল্লির পশ্চিম পাশেই দরিয়ানগর সমুদ্রসৈকত। মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফে যাওয়া-আসার সময় আকাশে ভেসে থাকা পর্যটকদের দেখা যায়। আর নিচে বালুচরে দাঁড়িয়ে অন্য পর্যটকেরা শূন্যে ভেসে থাকা ব্যক্তির ছবি তোলেন।
ঢাকার যাত্রাবাড়ির ফখরুল-সাবিহা দম্পতি এসেছেন প্যারাসেইলিং করতে। ইচ্ছা ছিল দুজন একসঙ্গে উড়বেন। কিন্তু প্যারাসেইলিংয়ে একজনই ঝুলতে পারেন। তাই প্রথমে এগিয়ে গেলেন ফখরুল। স্বেচ্ছাসেবীরা ফখরুলের গায়ে প্যারাস্যুট ও লাইফজ্যাকেট পরিয়ে দিলেন। আরেকজন প্যারাস্যুটের লাল রশি বেঁধে দিলেন শরীরে। প্যারাসেইলিং থেকে একটা মোটা রশি টানানো থাকে ৬০০ মিটার দূরে সাগরে ভাসমান স্পিডবোটে।
সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না, সেটা পরীক্ষার পর স্বেচ্ছাসেবী হ্যান্ডমাইকে ওড়ার ঘোষণা দেন। এ সময় বালুচরে দাঁড়িয়ে থাকা পর্যটকদেরও সতর্ক করা হয়। মুহূর্তে স্পিডবোটটি লোনাপানিতে ছুটতে শুরু করে। তখন রশির টান পড়ে প্যারাসেইলিংয়ে। ধীরে ধীরে প্যারাসেইলিং আকাশের পানে উড়তে থাকে।
Comment here