আমাদের এক কথা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

আমাদের এক কথা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের এক কথা এক দাবি- শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। সেটাতেই সঙ্কট নিরসনের একমাত্র পথ।’

তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’

advertisement

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘নেতাকর্মীদের বলব, আপনারা আরও দৃঢ় হোন, ঐক্যবদ্ধ হোন, উত্তাল তরঙ্গের মতো আন্দোলনের পর আন্দোলন সমূদ্রে যেমন ঢেউ হয়, সেই ঢেউ দিয়ে এই সরকারকে সরাতে হবে।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলাকে দেশের ও গণতন্ত্রের ওপর হামলা মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি ধিক্কার ও নিন্দা জানাই আজকে আমাদের নেতা, যিনি বাংলাদেশের জনগণের কাছে সত্যিকার অর্থেই একজন নেতা হিসেবে পরিচিত, সেই বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর অমানবিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের চরিত্র। আওয়ামী লীগ জন্মগতভাবে একটি সন্ত্রাসী দল। এটা আজকের কথা নয়। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানে অ্যাসেম্বলিতে ডেপুটি স্পিকারকে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরেছিল চেয়ার দিয়ে। আওয়ামী লীগ সেই দল, তারা সন্ত্রাস করেই টিকে থাকে।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ এখন আমরা যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। এই হরতাল করতে গিয়ে তারা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। গানপাউডার দিয়ে বাস পুড়িয়ে ১১ জন মানুষকে হত্যা করেছিল। শুধু তাই নয়; লগি বৈঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। তাদেরই আরেকটি চেহারা দেখলাম আমাদের নেতা বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে মাটিতে ফেলে সাপের মতো পিটিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেদিন শুধুমাত্র গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ই নয়; অসংখ্য নেতাকর্মীকে একইভাবে পিটিয়েছে, লাঞ্চিত করেছে, টিয়ার গ্যাস মেরেছে, গুলি করেছে। সেদিন অসংখ্য নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমাদের আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আজাদ, সাজিদ হাসান বাবুসহ অনেকেই আহত হয়েছেন।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেরা সন্ত্রাসী। সেজন্য তারা রাষ্ট্রকেও সন্ত্রাসী বানিয়ে ফেলেছে। এই রাষ্ট্র একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে; একেবারেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। সেজন্য তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করছে তারা। বাংলাদেশকে তারা একটি ডিপ স্টেটে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আগুন সন্ত্রাস করে তারা, দোষ চাপানোর চেষ্টা করে বিএনপির ওপর।’

এ সময় মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ গণঅবস্থানের দিন গাবতলীতে দেখেছি ক্ষমতাসীন দলের যুবলীগ, ছাত্রলীগকে পুলিশের পোশাক পড়িয়ে মাঠে নামানো হয়েছিল।’

দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা বিএনপির সহসভাপতি বদিউজ্জামান বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোজ্জাদ্দেদ আলী বাবুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্মমহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, খন্দকার আবু আশফাক, অপর্ণা রায়, শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

Comment here