আলোচিত ছাত্রলীগ নেত্রী এশাকে বিয়ে করছেন সোহাগ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

আলোচিত ছাত্রলীগ নেত্রী এশাকে বিয়ে করছেন সোহাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আলোচনায় আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ইশরাত জাহান এশার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ছাত্রলীগের সেই সময়ের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানান সোহাগ।

ফেসবুকে সোহাগ জানান, মঙ্গলবার উভয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের বিয়ের তারিখ ঠিক করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এশা ও সোহাগের দুই পরিবারসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে সাইফুর রহমান সোহাগ লেখেন, ‘আমার অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের বিয়ের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ঠিক করে দিয়েছেন। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা।’

সোহাগের ওই পোস্টে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল মধ্যরাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে ঢাবির সুফিয়া কামাল হলে এক ছাত্রীর রগ কেটে দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই সময় সুফিয়া কামাল হলের মোর্শেদা নামের এক ছাত্রীর রক্তাক্ত পায়ের ছবিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ছবির সঙ্গে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, হলের মেয়েদের রগ কেটে দিয়েছেন এশা।

সেই গুজবের ওপর ভিত্তি করে হলের ছাত্রীরা এশাকে অবরুদ্ধ করে লাঞ্ছিত করেন। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ওই হলে গিয়ে এশাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। ওই রাতেই ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এশাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করে ছাত্রলীগ।

পরে জানা যায়, মোর্শেদার পা কেউ কাটেনি, বরং এশার কক্ষের জানালার কাচে লাথি মারতে গিয়ে তার পা কেটে যায়। পরে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। ছাত্রলীগের তৎকালীন ও সাবেক নেতা-নেত্রীরা এশার পাশে দাঁড়ান। এশাকে মানসিক সহায়তা দেন। পরবর্তী সময়ে এশার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ।

ঘটনা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ঢাবি শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান ওই সময় সংবাদ সম্মেলনে করে বলেন, ‘সেই রাতে পরিস্থিতিটাই তখন এমন ছিল যে, তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এশাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল।’

তদন্ত কমিটির আরেক সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘ওই ঘটনার সব ভিডিও এবং প্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ওই হলে ছাত্রলীগের একটি অংশ এশার ওপর নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। অভিযোগে (রগ কাটা বা পা কাটা) তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।’

Comment here