মার্চে হতে পারে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
চট্টগ্রামসমগ্র বাংলা

মার্চে হতে পারে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন

চট্টগ্রাম ব্যুরো : আগামী মার্চে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় ভাবছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।

নগরীর লাভ লেইনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভায় বসেছিলেন সিইসি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮০ দিন গণনা শুরু হবে। আমার মনে হয় মার্চ মাসই হবে উপযুক্ত সময়। কারণ এপ্রিল মাসে রমজান, মার্চে সম্ভবত পরীক্ষা বা অন্য কোনো প্রোগ্রামও নেই।’

শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিশ্বাস করি, শতভাগ সঠিক ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সব দলের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক নির্বাচন হবে। এখানে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর প্রথম সভার দিন থেকে পরবর্তী নির্বাচনের মেয়াদ গণনা শুরু হয় জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন একসঙ্গে হলেও চট্টগ্রামে এই সভাটা দেরিতে হয়েছিল।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিভিন্ন মহলের আপত্তি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে বিবেচনার আর কোনো সুযোগ নেই। ইভিএমেই নির্বাচন করব। কারণ ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করলে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারবে। এতদিন ইভিএমে যেসব নির্বাচন করেছি, সেগুলোর ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া গেছে। তাই ইভিএমের ওপর আমাদের আস্থা আছে।’ মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান নুরুল হুদা। রোহিঙ্গাদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তারের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।

রোহিঙ্গাদের ভোটার করা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়মে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে নুরুল হুদা বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অধিকাংশই ছোট স্টাফ, অধিকাংশই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছে। তারা এখান থেকে ল্যাপটপ নিয়ে গিয়ে অবৈধ কাজটা করত। আট থেকে নয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে।’ তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে কর্মকর্তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান সিইসি।

সভায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

Comment here