ইন্টারনেটে যাচাই ছাড়া কিছু শেয়ার করবেন না : প্রধানমন্ত্রী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
জাতীয়

ইন্টারনেটে যাচাই ছাড়া কিছু শেয়ার করবেন না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সত্য-মিথ্যা যাচাই ছাড়া ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনোকিছু শেয়ার বা পোস্ট না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইন্টারনেটে ক্ষতিকর ডিজিটাল কনটেন্ট ফিল্টারিং করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধি আমাদের সুযোগ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নানা সমস্যারও সৃষ্টি করছে। দেখা যায় মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট বা অ্যাপস ব্যবহার করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের অনেক অপ্রয়োজনীয় লিঙ্ক চলে আসে। তাই ক্ষতিকর কনটেন্ট ফিল্টার করার ব্যবস্থা করতে হবে।

গতকাল বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তৃতীয় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আইসিটিভিত্তিক সেবা সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষিত করা এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে গত ১২ ডিসেম্বর তৃতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কিছু ইন্টারনেটে এলো, অমনি তাতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা বা অন্য কিছু করা ঠিক নয়। শুধু গুজবে কান দেওয়া বা কৌতূহলবশত সেগুলোয় প্রবেশ না করাই ভালো। কোনো পোস্ট শেয়ার করতে গেলে আগে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে এটা কতটুকু সত্য। এ অভ্যাস গড়ে তুললে তা সমাজ, দেশ ও ব্যক্তিজীবনের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ-২০১৯’ সম্মাননা প্রদান করেন। তিনি ‘আমার সরকার’ শীর্ষক একটি অ্যাপও উদ্বোধন করেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এএনএম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশু থেকে শুরু করে তরুণ সমাজকে সাইবার ক্রাইম বা সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন করা একান্তভাবে দরকার। আপনারা বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছেন। কিন্তু তারা কী দেখছে, কোথায় যাচ্ছে- তার ওপর নজরদারি অবশ্যই থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ভিশন টুুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান’ ঘোষণা করে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছিলাম। আমরা জনগণকে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছি। আমাদের অভিজ্ঞতা এখন অন্য দেশ অনুসরণ করছে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিতে সারাদেশে ৫ হাজার ৮৬৫টি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছে। শুধু ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে ১০ বছরে মানুষকে ৪৬ কোটি সেবা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে এখন মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৬ কোটি ৪১ লাখ ৭০ হাজার। বিএনপি সরকারের এক মন্ত্রীর মনোপলি ব্যবসা ভেঙে তার সরকার মোবাইল ফোনকে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেওয়াতেই এটি সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সম্প্রচারভিত্তিক সেবা সম্প্রসারণ সহজ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় এনেছি। এ বছর আরও ২০০ ইউনিয়নে কানেক্টিভিটি দেওয়া হবে। ২০২১ সালের মধ্যে দুর্গম এলাকার বাকি ৭৭২টি ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেব।

Comment here