করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন শীতে দেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ে (সেকেন্ড ওয়েব) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। অর্থনীতি সচল রেখেই করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয়। এ সভায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে তা মোকাবিলার নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। সভা শেষে ব্রিফ করেন সভার সভাপতি ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসবে কি না, সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে যদি আসে, তাহলে কর্মসূচি কী হবে, সেগুলো ভাগ করা হয়েছে। যেমন- চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়ে কী করতে হবে, সেই কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করবেন বিশেষজ্ঞরা। শীতে নিউমোনিয়া ইত্যাদি বেশি হয়: সে জন্যও শিগগিরই সবাইকে সচেতন করা এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত পরিকল্পনা তৈরি করে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, সবাই যাতে মাস্ক পরে, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলে, সে জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারাভিযান চালানো হবে। এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগ ব্যবস্থা নেবে। গণমাধ্যমও এ বিষয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আর মাঠ প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী কীভাবে অভিযান পরিচালনা করবে, সে বিষয়েও একটি কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর প্রতিটি মন্ত্রণালয় তাদের অফিস-আদালত ও প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে চালাবে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া দেশের বাইরে থেকে অনেক মানুষ আসছেন ও যাচ্ছেন। তাই বাইরে থেকে যাতে নতুন করে ভাইরাস ঢুকতে না পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে এখনো বিমানবন্দরে সশস্ত্র বাহিনী কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আলোচনা করে এসব কাজের জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এসব কর্মপরিকল্পনা করে দিতে হবে। এরপর সেগুলো চূড়ান্ত করে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর অভিযানের বিষয় বাস্তবতার ওপর নির্ভর করবে। তবে মূল কথা থাকবে, অর্থনীতিকে সচল রাখা।’

এ সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘যখন সংক্রমণ সর্বোচ্চ মাত্রায় ছিল, তখন সাড়ে তিন হাজার রোগীর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা ছিল। তবে সেখানে দেড় হাজারের বেশি ওঠেনি। সে জন্য এটি কমিয়ে দুই হাজারের মতো রাখা হয়েছে। যদি আবার পরিস্থিতি খারাপ হয়, তাহলে আবার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সাড়ে তিন হাজার করা হবে।’

Comment here