প্রকল্পে ‘অস্বাভাবিক ব্যয়’ নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রিপরিষদের ৬ নির্দেশনা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
জাতীয়

প্রকল্পে ‘অস্বাভাবিক ব্যয়’ নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রিপরিষদের ৬ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি প্রকল্পের কেনাকাটায় ‘অস্বাভাবিক মূল্য’ যেন দেখানো না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত ছয়টি নির্দেশনা দিয়ে সব সচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি সরকারি প্রকল্পে বিভিন্ন সহজলভ্য পণ্যের ‘উচ্চ’ দাম নির্ধারণ বিষয়ে গণমাধ্যমে বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদের পর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ‘বাজেটে বরাদ্দকৃত ব্যয়সীমার মধ্যে প্রকল্প গ্রহণ’ শিরোনামে এ নির্দেশনা পাঠালো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোর আওতায় সংশ্লিষ্ট অর্থবছরে সিলিং বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ করছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ের সঙ্গে চলমান প্রকল্পের বরাদ্দে সামঞ্জস্যতা থাকছে না। এ ছাড়া সিলিং বহির্ভূত প্রকল্প গ্রহণ করায় সকল প্রকল্পে প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করাও সম্ভব হচ্ছে না।

চিঠিতে প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের বাইরে প্রকল্প গ্রহণ সরকারের সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ জানিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে ছয়টি বিষয়ে সতর্ক বলা হয়েছে।

১. মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলোকে তাদের মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোর আওতায় প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের অর্থবছরে বরাদ্দের সিলিংয়ের মধ্যে থেকে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। ২. বিনিয়োগ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৫০ কোটির বেশি টাকার প্রকল্পের বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা আবশ্যিকভাবে যাচাই করতে হবে। ৩. প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অধিকতর সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে কোনো পণ্য বা দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য দেখানো না হয়।

৪. জিটুজি ভিত্তিতে গৃহীত প্রকল্পে সরকারি অর্থে পরামর্শক নিয়োগের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৫. প্রকল্প বাছাই বা অনুমোদনের সময় বিষয়গুলোতে অধিকতর সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। ৬. রাষ্ট্রীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিশেষ প্রকল্পের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে আগেই অর্থ বিভাগের সম্মতি নিতে হবে।

Comment here