নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যাওয়া রোগীদের জন্য সেখানকার বার্ন ইউনিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাতে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনানেল কে এম নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বার্ন ইউনিট খালি করার একটি নির্দেশনা দিয়েছে। কারণ, এখন সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের আইসোলেশনে নেওয়া হয় এবং সেখানে রাখা হয়। এতে পুরো হাসপাতাল কলাপস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে যেসব রোগী হাসপাতালে আসবে তাদের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হবে এবং চিকিৎসা দেওয়া হবে। কোনো রোগীর করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেলে সেই রোগীকে কুর্মিটোলা বা অন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে।’
হাসপাতালের পুরাতন ও নতুন দুই ভবনে করোনাভাইরাস রোগী রাখা হবে না জানিয়ে তার কারণ ব্যাখ্যায় ঢামেক পরিচালক নাসির বলেন, ‘এখন জ্বরের মৌসুম। সুতরাং অনেক রোগী, কে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বা কে আক্রান্ত না…। তাই এই জিনিসটা আমরা শুরু থেকে আলাদা করতে চাই। এজন্যই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের রোগী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার জন্য। তাছাড়া নতুন বার্ন ইনস্টিটিউটটি তৈরি করা হয়েছে শুধু বার্নের রোগীদের জন্য। ৫০০ শয্যার হাসপাতাল তো পুরোটাই খালি রয়েছে।’
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে এখন ২৪০ জনের মতো রোগী আছে জানিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘তাদের স্থানান্তর করতে তো একটু সময় লাগবে। তবে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
দেশে নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও বিভিন্ন বড় বড় স্থাপনাকে কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের জন্য প্রস্তুত রাখছে সরকার।
শুক্রবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন।
Comment here