করোনা রোগী তল্লাশির নামে তুলে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

করোনা রোগী তল্লাশির নামে তুলে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা রোগী তল্লাশির নামে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পাঁচ যুবক।  এরপর জোর করে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় তারা। গণধর্ষণের পর তাকে এক জায়গায় ফেলে যায়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরের দিন গতকাল রোববার সকালে ঝিনাই নদীর পাড়ে জঙ্গল থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরে কিশোরীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তার ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এ ঘটনায় রাশেদুল ইসলাম ও মিজানসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এরই মধ্যে মিজান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কিশোরীর বাবার ভাষ্য, শনিবার রাত ৩টার দিকে করোনাভাইরাসের রোগী আছে, বাড়ি তল্লাশি করা হবে বলে পুলিশ পরিচয়ে দরজা খুলতে বলে কয়েকজন। দরজা খুলে দেখি পাঁচ-ছয়জনের একদল যুবক। প্রথমে তারা পানি খেতে চায়। পানি এনে দিলে আমার মেয়ের হাত ধরে জোর-জবরদস্তি শুরু করে। বাধা দেওয়ায় গলায় ধারালো ছুরি ধরে মারধর করে মেয়েকে তারা তুলে নিয়ে যায়।

মেয়ের বাবা বলেন, ‘পাঁচজনের মধ্যে একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে রাশেদুল ইসলাম এবং তার বন্ধু টগার চরের মিজানকে চিনতে পেরেছি আমরা। অনেক খোঁজাখুজির পর রোববার সকালে ঝিনাই নদীর পাড়ে জঙ্গল থেকে আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।’

জামালপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেমুজ্জামান বলেন, ‘কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা করেছেন। মিজান নামের এক আসামিকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দেশের এই দুঃসময়ে পুলিশের নাম ব্যবহার করে করোনা রোগী তল্লাশির নামে অপরাধীরা এ ধরনের অপরাধ করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Comment here